দ্বিতীয় অধ্যায় । 89. ঐরূপ একটা জ্ঞানভাণ্ডার ছিল, আর এইরূপে অনন্তকাল ধরিয়া জ্ঞান লাভ হইতেছে। এই সিদ্ধান্ত এড়াইবার কোন মতে যো নাই । ইহা গণিতের স্যায় ধ্রুব সিদ্ধান্ত । ইহা অনেকটা স্পেন্সার ও অন্যান্য কতকগুলি ইউরোপীয় দার্শনিকগণের সিদ্ধান্তের সদৃশ । র্তাহারা এই পৰ্য্যন্ত দেখিয়াছেন যে, অতীত জ্ঞানের ভাণ্ডার নী থাকিলে কোন প্রকার জ্ঞান লাভ অসম্ভব, অতএব শিশু পূৰ্ব্বজ্ঞান লইয়া জন্মগ্রহণ করে। র্তাহারা এই সত্য বুঝিয়াছেন যে, কারণ কাৰ্য্যের মধ্যে অন্তর্নিহিত থাকে, উহা সূক্ষাকারে আসিয়া পরে বিকাশপ্রাপ্ত হয়। তবে এই দার্শনিকেরা বলেন যে, শিশুযে সংস্কার লইয়া জন্মগ্রহণ করে, তাহা তাহার নিজের অতীত অবস্থার জ্ঞান হইতে লব্ধ নহে, উহা তাহার পূর্বপুরুষদিগের সঞ্চিত সংস্কার ; বংশানুক্রমিক সঞ্চরণের দ্বারা উহা সেই শিশুর ভিতর আসিয়াছে। অভিশীঘ্রই ইহারা বুঝিবেন যে, এই মতবাদ প্রমাণসহ নহে, আর ইতিমধ্যেই অনেকে এই বংশানুক্রমিক সঞ্চরণ মতের বিরুদ্ধে তীব্র আক্রমণ আরম্ভ করিয়াছেন । এই মত অসত্য নহে, কিন্তু অসম্পূর্ণ। উহা কেবল মানবের জড়ের ভাগটাকে ব্যাখ্যা করে মাত্র। যদি বলেন—এই মতানুযায়ী পারিপার্শ্বিক অবস্থার প্রভাব কিরূপে ব্যাখ্যা করা যায় ? তাহাতে ইহারা বলিয়া থাকেন, অনেক কারণ মিলিয়া একটী কাৰ্য্য হয়, পারিপার্থিক অবস্থা তাহদের মধ্যে একট। অপরদিকে হিন্দু দার্শনিকগণ বলেন, আমরা নিজেরাই আমাদেরই পারিপার্শ্বিক অবস্থার গঠনকৰ্ত্ত ; কারণ, আমরা অতীত অবস্থায় যেরূপ ছিলাম,
পাতা:ধর্ম্মবিজ্ঞান - স্বামী বিবেকানন্দ.pdf/৫১
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।
![](http://upload.wikimedia.org/wikipedia/commons/thumb/1/1f/%E0%A6%A7%E0%A6%B0%E0%A7%8D%E0%A6%AE%E0%A7%8D%E0%A6%AE%E0%A6%AC%E0%A6%BF%E0%A6%9C%E0%A7%8D%E0%A6%9E%E0%A6%BE%E0%A6%A8_-_%E0%A6%B8%E0%A7%8D%E0%A6%AC%E0%A6%BE%E0%A6%AE%E0%A7%80_%E0%A6%AC%E0%A6%BF%E0%A6%AC%E0%A7%87%E0%A6%95%E0%A6%BE%E0%A6%A8%E0%A6%A8%E0%A7%8D%E0%A6%A6.pdf/page51-1024px-%E0%A6%A7%E0%A6%B0%E0%A7%8D%E0%A6%AE%E0%A7%8D%E0%A6%AE%E0%A6%AC%E0%A6%BF%E0%A6%9C%E0%A7%8D%E0%A6%9E%E0%A6%BE%E0%A6%A8_-_%E0%A6%B8%E0%A7%8D%E0%A6%AC%E0%A6%BE%E0%A6%AE%E0%A7%80_%E0%A6%AC%E0%A6%BF%E0%A6%AC%E0%A7%87%E0%A6%95%E0%A6%BE%E0%A6%A8%E0%A6%A8%E0%A7%8D%E0%A6%A6.pdf.jpg)