পাতা:ধর্ম্মব্যাখ্যা (প্রথম পর্ব্ব).djvu/১২১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

> og ধৰ্ম্মব্যাখ্যা। [ দ্বিতীয় এখন দেখ, গৃহস্বরূপ দেহ হইতে বায়ু স্থানীয় জীবশক্তি-গুলিকে একটু, পৃথক্ করিতে পারলে, বাস্পস্বরূপ-বৃত্তিগুলিও জমিতে পারিল না এবং বায়বীয় আকাশের দ্যায় জীবাশ্মছিন্ন আত্মাও গৃহীয় আকাশের স্থানীয় দেহাবচ্ছিন্ন আস্থা হইতে পৃথক হইয়া পড়িল। এবং গৃহীয় আকাশ মলিন থাকিলেও যেরূপ বায়বীয় আকাশ মলিন থাকিবে না, তদ্রুপ দেহাবচ্ছিন্ন আত্মার মলিনতা থাকিলেও জীবাবচ্ছিন্ন আত্মার, (তোমার আহ্বার) মলিনতা বিদূরিত হইবে এবং বায়বীয় আকাশে যেরূপ গৃহীয় আকাশ বলিয়া জ্ঞান হইতৃে পারে না, সেইরূপ তোমার জীপ ছিন্ন আত্মার ও দেহাবচ্ছিন্নআত্মা বলিয়। অনুভূতি হইতে পারে না- f এই প্রকারে ইন্দ্রিয় বৃত্তি নিরোধের দ্বারা দেহাত্মাঞ্জান নিবৃত্তিএবং ইঞ্জিয় প্রাণাত্মজ্ঞানের বিকাশ সাধিত হইয়া থাকে। (নরোধ শক্তি কি প্রকারে উৎপন্ন হয়, তাহা পরে বলিব । ) এই ইন্দ্রিয় প্রাণাত্মজ্ঞানের অবস্থায় বাহিরের কোন বস্তুর দর্শন, শ্রবণ বা স্পর্শনাদি কিছুই হয় না, হস্তপদাদির পরিচালনও হয় না, ফুপ ফুস, হৃৎপিণ্ড, পাকস্থলী প্রভৃতির ক্রিয়াও একরূপ অবরুদ্ধই হয় ; সমাধি-প্রকরণে এবিষয়ের বিস্তার হইবে। এখন ইক্রিয় ও প্রণের স্বরূপ নিরোধের দ্বারা কি হয় তাহ শুন । ইন্দ্রিয় ও প্রাণেরস্বৰূপনিরোধের দ্বারা ইন্দ্রিয়াত্মজ্ঞানের নিবৃত্তি এবং মনসাত্মজ্ঞানের উৎপত্তি। ইন্দ্রিয় ও প্রাণের বৃত্তিনিরোধপূর্বক যখন ইন্দ্রিয়ান্ধুজ্ঞান হইতেছে, তখন জীবের শক্তিগুলির যে বিশেষ ক্ষয়বৃদ্ধি হইতেছে তাহী নহে, জীবের শক্তিগুলি তখনও সেই পূর্বের মত মস্তিষ্কের মধ্য হইতে বিস্তৃত হইয়া, ক্রমে স্বায়ুসহস্ত্রের অগ্রভাগ অথবা দেহের চৰ্ম্ম প্রান্ত পৰ্য্যন্ত প্রসারিত হইতেছে,এবং সেই পূর্বের মতই উত্তপ্তলৌহপিণ্ডের মধ্যে যেরূপ তাপপূরিত থাকে, সেইরূপ, দেহের সকল স্থানেই যেন পরিপূরিত রহিয়াছে ! এ সময় যদি ইক্রিয় ও প্রাণাদি শক্তির বেগ সংরুব্ধ করিয়া, কিছু খৰ্ব্বকরা যায় তবেই "মৃদুইন্দ্রিয় প্রাণ-নিরোধ” (৮১ পৃ) হইল ; এবং ইন্দ্রিয়াদি শক্তি গুলিও একটু । হালকা হইল, হুতরাং ইন্দ্ৰিয়াত্মজ্ঞানপূৰ্ব্বাপেক্ষ একটু শিথিল হইল অর্থাৎ মধ্যম ইম্রিয়াত্মজ্ঞান হইল (৯৩ পৃ) পরে ইন্দ্রিয়াদি শক্তিকে আর একটু