পাতা:ধর্ম্মব্যাখ্যা (প্রথম পর্ব্ব).djvu/১৪৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

১২৮ ধৰ্ম্মব্যাখ্যা । . দ্বিতীয় অবকাশ দেয় না, মনকে সঙ্গে লইয়া ধারাবাহী ক্রমেই বিষয়াভিমুখে চলিতে থাকে। সুতরাং পশুদের কিছুমাত্র চিন্তা বা ধীশক্তির কার্য্য দৃষ্ট হয় না। অতএব নিরোধশক্তিই ধীশক্তির মূল – সত্যের বিকাশ । সত্য। যাহার চিত্ত দুৰ্ব্বল তাহার সত্য রক্ষিত হয় না। যাহার চিত্ত যত অধিক পরিমাণে বিষয়াসক্ত, যাহার মনের অধঃস্রোতস্বিনীগতি যত প্রবল, ততই তাহার চিত্ত অধিক পরিমাণে বিষয়ের অধীন, সুতরাং দুৰ্ব্বল। অতএব অত্যন্তঅধঃuভ্রাতস্বিনীবৃত্তিশালীরই সত্যনিষ্ঠ অসম্ভব। কিন্তু প্রবল নিরোধশক্তির প্রভাবে যাহাদের উদ্ধ স্রোতস্বিনী গতি প্রবলা, তাহাদের চিত্ত দুৰ্ব্বল হইতে পায় না, সত্য ও নষ্ট হয় না। যদিও কখন লোভ পরবশ হইয়া সত্যাপলাপের প্রবৃত্তি প্রবলা হয়, তবে তৎক্ষণাৎ নিরোধশক্তিপ্রভাবে চিত্ত সংযত করিলেই সত্য সংরক্ষিত হইল। অক্রোধও এইরূপ। ক্রোধের উদ্দীপনা কালে চিত্ত নিরুদ্ধ করিলেই ক্রোধ হইতে পায় না । এইরূপে সমস্ত ধৰ্ম্মই নিরোধশক্তি হইতে সমুৎপন্ন-নিরোধ,শক্তিই সকল ধৰ্ম্মের উপাদান কারণও মূল ভিত্তি। শিষ্য। নিরোধশক্তি . হইতেই সমস্ত ধৰ্ম্মের বিকাশ ও সমস্ত অধৰ্ম্মের ক্ষয় হয়, তাহ বিলক্ষণরূপে অবগত হইলাম। কিন্তু, আমরা যখন বিষয় পরবশ হইয়া অবশভাবে পাপবৃত্তির দ্বারা পরিচালিত হই, তখন আমাদের সম্পূর্ণ আত্মবিস্তৃতি হইয়া পড়ে, জ্ঞান বুদ্ধি সমস্তই বিলুপ্ত হয়, স্বতরাং তখন নিরোধশক্তির উত্তেজনা পূৰ্ব্বক ঐ সকল পাপবৃত্তির বিনাশ করা অসম্ভব। ক্রোধ, ব্যভিচার হিংসা প্রভৃতিকুপ্রবৃত্তির কার্ষ্যগুলি যে নিতান্তঅকর্তব্য তাহা অনেকেরই বিশ্বাস। কিন্তু যখন ঐসকল পাপবৃত্তির ঘটনা উপস্থিত হয়, তখন আত্মবিশ্বত হইয়াই ঐ সকল কাৰ্য্য করিয়া ফেলে। তত্পর ঐ কুৎসিত বৃত্তি গুলি চরিতার্থ হইয়া গেলে, যখন তাহার প্রতিক্রিয়ার সময় উপস্থিত হয়, তখন আবার ক্রমেক্রমে জ্ঞান, বুদ্ধি ঘটে আসিতে থাকে ; অতএব তত্ত্বৎকালে নিরোধশক্তির উত্তেজনা করিয়া