পাতা:ধর্ম্মব্যাখ্যা (প্রথম পর্ব্ব).djvu/১৭১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

x; বৰ্ম্মব্যাখ্যা । [তৃতীয় হইবে, আত্মজ্ঞানাদি ধৰ্ম্মের পূর্ণমাত্রায় বিকাশ হইয়া উঠিবে। এখন হৃৎপয়ে সম্পূর্ণ ধারণা হইল। কিন্তু যিনি কৃতকৰ্ম্ম তাহাকে স্কুল-বক্ষপ্রদেশ অবধি ধারণা করিতেকরিতে ক্রমে এই হৃৎপদ্ম বা হৃদয়স্থ-স্নায়ুপৰ্ব্বে উপস্থিত হইয়া ধারণা’ করিতে হয় না ; তিনি যখন ইচ্ছা তখন, একবারেই এই হৃদয়পদ্ম-মধ্যে আ স্ত্রাকে ধারণা করিতে পারেন ; নাভিচক্রাদি অন্তান্ত স্থানেও একবারেই *ধারণা করিতে পারেন। (* নাভি চক্রাদি যেকোনপানে ধারণ, কর, তাহাতেই এই একই নিয়মে ধারণা করিতে হইবে ; এবং এই একই প্রকার ফল সাধিত হইবে, অর্থাৎ নাভিচক্রে “ধারণা করিতে হইলে, যিনি কৃতকৰ্ম্ম পুরুষ নহেন, তাহাকে প্রথম সমস্ত-উদর-দেশটা লক্ষ্য করিতে হইবে, উদর-দেশটা লক্ষ্য করিতে করিতে যখন অন্যদিকে মনের গতি না হইয়া উদর-দেশটাতেই মনের অভিনিবেশ হইবে, তখন ক্রমে ক্রমে আপনি আপনিই সমস্ত উদরটা পরিত্যাগ করিয়া উদরের মধ্যবৰ্ত্তা পাকস্থলী, পাকস্থলীর বাম দক্ষিণ-স্থিত প্লীহা এবং যকৃৎ, পাকস্থলীর নিম্নস্থিত-ক্ষুদ্র পাকস্থলী, এবং নাভিমূল সংলগ্ন-কতকগুলি-ধমনী ও তৎসংলগ্ন-পেষী-সকল অনুভূত হইতে থাকিবে (ক)। (ক) উদর বলিয়া যাহা বাহির হইতে দেখায়ায়, তাহার সম্মুখটা কেবল চৰ্ম্ম আর তৎসংলগ্ন মাংস পেষীর দ্বায়া আবৃত; উদরের দক্ষিণভাগ, বামভাগ, ও পৃষ্ঠভাগটা প্রথম চৰ্ম্ম, তাহার নীচে মাংসপেষী ও তাহার নীচে অস্থিসমূহের দ্বারা আবৃত। এইরূপ আবরণের দ্বারা দেহের মধ্যে একটি বিবর অথবা একটি কুঠর, হইল। এটির নাম দেহ ‘মধ্য বিবর’ এই কুঠী মধ্যে অনেকগুলি যন্ত্র আছে, তন্মধ্যে আপাতত:, মাংসপেষী বাদে চারিটি যন্ত্রকে প্রধান বলিয়া বুঝিতে পার। তাহার এক-একটির, সক্ষিপ্ত বর্ণনা গুন। এই মুখের প্রণালীটি একটি চোঙ্গের আকারে বক্ষ-প্রদেশের সমান মধ্য ভাগ দিয়া নিয়াভিমুখে বরাবর লম্বমান হইয়াছে; এই প্রণালীটি স্বভাবতঃ তিন পৰ্ব্ব অপেক্ষায় কিছু বেণী মোটা হইবে। ইহা তোমার বক্ষ-প্রদেশের নিম্নস্থান