পাতা:ধর্ম্মব্যাখ্যা (প্রথম পর্ব্ব).djvu/১৭৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

>☾8 ধৰ্ম্মব্যাখ্যা । (ੲੀਂ শিষ্য।—ধারণার দ্বারা কিরূপে নিরোধশক্তি বৃদ্ধি, বুখান শক্তির ক্ষয়, এবং আল্পাঞ্জানাদি পরম ধৰ্ম্ম সমূহের বিকাশ হয় তাহ অনুগ্রছ পূর্বক বিশেষ বিস্তার কাগয় বলুন। আচাৰ্য্য —প্রথম তোমার স্বাভাবিক অবস্থাটি স্মরণ করিয়া লও — স্বাভাবিক অবস্থায় তোমার বুখানশক্তি মস্তিষ্ক-মধ্যে উত্তেজিত হইয়া দেহের সমস্ত শাখা-প্রশাপায় প্রবাহিত্যু হইয়া সমস্তদেহ-পরিব্যাপ্ত ভাবে রহিয়াছে, বক্ষপ্রদেশেও পরিব্যাপ্ত আছে। এখন যেন তোমাকে হৃদয়পদ্মে ধারণা করিতে হইবে। সুতরাং তুমি পূৰ্ব্বকার নিয়মানুসারে স্থল-বক্ষ-প্রদেশটা লক্ষ্য করিয়া মনোনিবেশ করিতে থাকিলে । তোমার মন কিন্তু স্থির হইয়া থাকার জিনিষ নহে, সুতরাং সে একবার চক্ষুর দিকে—একবার কর্ণের দিকে—একবার বাক্যযন্ত্রের দিকে – একবার পাকস্থলীর দিকে, অথবা হস্তপদাদির দিকে ছুটয় বেড়াইতে লাগিল। তুমিও তাহাকে বক্ষপ্রদেশেই বাধিয়া রাখার চেষ্টা করিতেছ, এক এক বার মন স্থলিত হইয়া যায়, এক একবাব বক্ষ প্রদেশে লক্ষ্য করিয়া বক্ষ প্রদেশেই তাহাকে রাখিতে থাকিলে। বল দেখি, মন এক একবার স্খলিতপদ হইয়া নানাদিকে যাইতেছে কোন শক্তির বলে ? রজোগুণ-সমুৎপন্ন বুখিান-শক্তির বলে ;–বুখান শক্তিই তোমাকে, শরীরের হস্ত-পদাদি-শাখাপ্রশাখায় পরিচালিত করিতেছে। এখন যদি সেই মনকে হৃদয়াদি এক স্থানই লক্ষ্য করিয়া আবদ্ধ করিয়া রাখিলে, তবে অগত্যাই ব্যুথান-শক্তিকে ক্ষীণ করা হইল, যতক্ষণ পৰ্য্যন্ত বুখানশক্তি ক্ষীণতা প্রাপ্ত না হইবে, ততক্ষণ, তুমি বক্ষ-প্রদেশে মনকে রাখিতে পারিবে না, বুখান-শক্তি তাহাকে বলক্রমে অন্যত্র লইয়া যাইবে। অতএব ধারণা কালে বুখিান-শক্তি অবগুই পরাভূত হইবে। . মনকে একস্থানে বাধিয়া রাখার চেষ্টা করিতেই তৎসঙ্গে অলক্ষিতভাবে মনের সংখমশক্তি-নিরোধ-শক্তি-উদ্দীপিত হয়। মন যদি এদিক ওদিকে না যাইতে পাক্সিল, সুতরাং নিরুদ্ধই হইল। ধখন বুখিান-শক্তির সঙ্কোচ হইয়া ক্ষীণত হইল, নিরোধেরও বৃদ্ধি হইল, তখন মুক্তরাং দেহের আত্মার সহিত শক্তির সম্বন্ধ শ্লথ হইয়া গেল,