পাতা:ধর্ম্মব্যাখ্যা (প্রথম পর্ব্ব).djvu/২০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ধৰ্ম্মব্যাখ্যা । بي( দেশীয় শিক্ষার অভাব হুইয়া কেবল বিদেশীয় শিক্ষার প্রভাবে আমাদের মন ও মস্তিষ্ক ৰিদেশীয় ভাব, বিদেশীয়-সংস্কার, বিদেশীয় দৃষ্টি ও বিদেশীয় প্রকৃতি দ্বারা সংগঠিত হইয়া উঠিয়াছে ;—এমন কি ভারতীয় মনুয্যের পৃথক্ অস্তিত্বই বিলুপ্তপ্রায় । আজ ভারতবর্ষ মৃত, আজ আর্য্যভূমি ভারতবর্ষকে, উপইংলণ্ড বা ফিরিঙ্গিল্যtণ্ড বলিলেও অত্যুক্তি বোধ হয় না। আজ নব্যসমাজ, ভারতবর্ষে যাহাঁ কিছু দেখেন, তাহাই বিদেশীয় দৃষ্টিদ্বারা ; যাহা কিছু ভাবেন তাহা বিদেশীয় ভাবনাদ্বার এবং যাহা কিছু ধারণ করেন, তাহাও বিদেশীয় ধারণ দ্বারা । তাই বলি, আৰ্য্যভূমি ভারতবর্ষ, উপ ইংলণ্ড হইয়া উঠিল! তাই বলিয়াই, আজ অন্য দেশের পুতুলপূজা ‘আইডোলেটরি, আমাদের বহুমূল্য সগুণ ব্রহ্মোপাসনা ও পৌত্তলিকতা,’ অন্যদেশে ব্যবসায়াদি ভেদে ‘ কাষ্টসিষ্টেম, আমাদেরও প্রাকৃত জাতিভেদ কাষ্টসিষ্টেম । আজ অন্য দেশের ধৰ্ম্ম কেবল সমাজের জঙ্গমাত্র, কারণ তাহার মূল ভিত্তিস্বরূপ যে ৮১০টি আজ্ঞা আছে, তাহ কেবল সমাজের নিমিত্তই আবশ্যক ; সেইহেতু ভারতের অমূল্য ধৰ্ম্ম-ধনও সামাজিক অঙ্গমাত্র। ভারতবর্ষের প্রায় প্রত্যেক প্রাচীন নিয়মেই এইরূপ বিপরীত ভাব প্রবেশ করিয়াছে । নব্যসমাজের অবস্থা বলিলাম। আবার গুণজ কালের প্রাচীনসমাজের অবস্থা আরও শোচনীয়। প্রাচীনসমাজ স্কুল, স্বক্ষ কোনও চিন্তার আবশ্যকতা মনে করেন না। র্তাহারা যাহা করিয়া আসিতেছেন, তাছাই করিবেন। আর্য্যশাস্ত্রের নিৰ্ম্মল স্বযুক্তিপূর্ণ সিদ্ধান্ত গুলি যে তাহাদের ঘোর স্বেচ্ছাচার ও স্বার্থপরতায় বিমিশ্রিত হইয়া, এখন নিতান্ত মলিনবেশে পরিণত ও ঘোর কুসংস্কারাচ্ছন্ন হইয়া পড়িয়াছে, ইহা প্রাচীনসমাজ ঈষৎ কটাক্ষ করিয়াও দেখেন না। প্রাচীন-সমাজ স্তম্ভের ন্যায় নিশ্চিন্ত ও অচল অটল। এইরূপে, কি নব্যসমাজ কি প্রাচীনসমাজ, উভয়ত্রই ধৰ্ম্মের শোচনীর অবস্থা । ধৰ্ম্ম কাল্পমিক পদার্থ নহে । আজকাল কেহ কেহ এমনও মনে করেম, ধৰ্ম্ম এক প্রকার কাল্পটির জিনিস, ইহা কবির মনের এক প্রকার ভাব মাত্ৰ—ইহার উপর দেশের