পাতা:ধর্ম্মব্যাখ্যা (প্রথম পর্ব্ব).djvu/২০৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

খণ্ড } ধৰ্ম্মব্যাখ্যা। .مید থাকাতে দেহের ভিতরে জ্ঞানশক্তি প্রভৃতি যে সকল শক্তি কাৰ্য্য করিতেছে, তাহার প্রত্যেকশক্তির অস্তিত্ব এবং দেহের প্রত্যেক অবয়ব বা স্থল বৃক্ষ-সমস্ত অংশই এক প্রকার জাগ্রত ভাবে,—এক প্রকার ভাসমানভাবে—রহিয়াছে, ইহাদের অস্তিত্বের অন্ধত হইতেছে না। সুতরাং বাহিরের সানোকের সাদৃশু কোথা ? বাস্তবিকপক্ষে তোমার নিজের অনুভবশক্তিব্যতীত ঐ ভাবটি কথার দ্বারা বুঝাইয়া দেওয়া নিতান্ত অসাধ্য, তবে আমি যদি আমার হৃদয়টি তোমার মধ্যে পূরিয়া দিতে পারি, তাহ হইলেই এই ভাবটি ঠিক ঠিকমত তোমার মধ্যে পৌছাইয়া দিতে পারি, নতুবা কোন ভাষাদ্বারা ব্যক্ত করিয়া ইহা পরের মনে পৌছাইবার জো নাই,—যে হেতু এ আভ্যন্তরিক ভাবগুলি ঠিক ঠিকমত প্রকাশের উপযুক্ত কোন ভাষাই নাই, এবং তাহ সম্ভবেও না। কারণ আমরা যে সকল কথা সৰ্ব্বদা ব্যবহার করিয়া থাকি, তাহার প্রত্যেকটি কথাই আমাদের বাহিরের দৃষ্ট দ্বার, বাহিরের ভাবের দ্বারা সংগৃহীত এবং অভ্যস্ত, বা শিক্ষিত, সুতরাং তাহ অন্তরের ভাবের প্রকাশ করিতে পারে না। কারণ বাহিরের ভাব আর অম্ভরের ভাব নিতান্ত অসদৃশ পদার্থ ; কোন একটি বাহিরের ভাব আর কোন একটি অন্তরের ভাব, ইহাদের কোন অংশেই ঠিক মিল নাই, মিল থাকা, কদাচ সম্ভবেও না । ‘প্রকাশ’ ‘অন্ধ” ‘জাগ্ৰং ভাসমান প্রভৃতিশব্দগুলি আমরা বাহিরের দৃষ্টিতে, বাহিরের ভাবেই সংগৃহীত ও অভ্যস্ত করিয়াছি ; স্বৰ্য্যাদি হইতে বিকীর্ণ জড়-পদার্থ-আলোকশক্তির দর্শনে, সেই আলোকশক্তির ভাবেই আমাদের প্রকাশকথাটি অভ্যস্ত আছে, সুতরাং প্রকাশ কথাটি শুনিলে আলোকমণ্ডলের ভাব ব্যতীত আর কিছুই আমাদের মনে আসিতে পারে না, হৃদয়ে ধারণা হইতে পারে না, কখনই না। কারণ যে অর্থে আমাদের যে কথাগুলি অভ্যস্ত আছে, সেই কথা শুনিলে আমাদের সেই অর্থ ব্যতীত আর কিছু মনে হইতে পারে না। • অন্ধ, কথাটি আমরা নয়ন-শক্তি-বিহীন-লোকের দর্শনে তাহারই ভাবে, অথবা অন্ধের অনুকরণ করিয়া নিজ চক্ষুদ্বয় নির্মীলনে একপ্রকার কাল-কালভাব আঁধার-আঁধারভাব দর্শনে সেইরূপ কালকাল-আঁধার আঁধারমত সন্দর্শনকরার ভাবেই অভ্যস্ত করিয়াছি, এখন