পাতা:ধর্ম্মব্যাখ্যা (প্রথম পর্ব্ব).djvu/২৪৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

পিত্তাহিক লোকের স্নায়ুসমূহ, ততটুক বাধা জন্মায় না। সুতরাং স্বাক্ষশক্তি ঐ রূপ বিশ্লিষ্টাবয়ব মস্তিষ্ক ও স্নায়ুসমূহে সংক্রান্ত হইয়া উপযুক্ত বাধকতার অভাবে ক্ষীণবীৰ্য্য হইয়া যেন ফসকিয়া যায়, কিন্তু খুব দ্রুত দ্রুত কাৰ্য্য করে বটে ;–ইহার ক্রোধ হইতেও অনেক কাল লাগে না, দয়া হইতেও অনেক কাল লাগে না, এইরূপ লোক যে কোন কাৰ্য্য করে, তাছাই অতি চঞ্চলভাবে অতি শীঘ্র শীঘ্ৰ করিয়া ফেলে। এইত গেল পৈত্তিক প্রকৃতির লোকের আভ্যন্তরিক তত্ত্ব। - পিত্তপ্রকৃতির লোক যদি পিত্তবদ্ধক কোন দ্রব্য আহার করে ৬ অর্থাৎ যে বস্তুর দ্বারা শরীরে অধিক পরিমাণে উত্তাপ জন্মে এমত কোন দ্রব্য আহার করে, ( লঙ্কা, গুড়, লবণ ইত্যাদি ) তাহা হইলে তাহার পূৰ্ব্বাবস্থার আর একটু বৃদ্ধি হয়, অর্থাৎ স্বভাবাবস্থায় যে তাহার দেহে তাপাধিক্য থাকাতে আত্মার শক্তিগুলি উপযুক্ত মত বাধার অভাবে যেন একটু ফসকিয়া গিয়া কিছু দুৰ্ব্বল ও ক্ষীণবীৰ্য্য হইতেছিল, সেই অবস্থাটি, গুড় লবণাদি উষ্ণবীৰ্য্য বস্তু আহার করা মাত্র ঐ সকল বস্তু শরীরের দ্বারাপরিগৃহীত হইয়া আরও অধিক তাপ সঞ্চয় হওয়ায় আরও বৃদ্ধি পায়, তখন তাহাই এক প্রকার দুঃখ বলিয়া অনুভূত হয়। তাই পিত্তাধিক - প্রকৃত্বির লোকে অধিক গুড়, অধিক ঝাল, অধিক লবণাদি ভাল বাসে না ঐ সকল ত্রব্য উহাদের মুখপ্রদ হয় না। . . .

  • বায়ু, পিত্ত, শ্লেষ্মা বলিলে, শরীরের মধ্যগত এই বহিস্থ বায়ু পদার্থ, ব। কেবল যকৃৎ হইতে ক্ষরিত তিক্ত রস বিশেষ, কিম্বা বাহিরের জল বুঝায় না। কিন্তু বাহিরের বায়ু জলাদির সাদৃশু লইয়াই ইহাদিগকে বায়ু ‘পিত্ত’ ‘কফ বলা হয়। বাহ্যবায়ুর সাহায্যে বস্তুসকলের জলীয়াংশসমূহ বিশোষিত হইয়া উড়ীয়া যায়, এবং সেই বস্তুটা শুষ্ক হইয় পড়ে, আর বায়ুর গতিদ্বারাই সচরাচর জলাগি প্রভৃতির পরিচালনা দৃষ্ট হয়, এনিমিত্ত, ভূক্ত পীত দ্রব্য হইতে সমুৎপন্ন শরীরের , যে জাষ্ট্ৰীয় পদার্থটি ঐক্কপ গুণযুক্ত হয় তাহাকেই ‘ বায়ু বলা হয়, অর্থাৎ শরীরে যে পদার্থ উৎপন্ন হইয়া দেহের জলাংশ বিশোষিত হয় দেহটা গুঙ্ক বা রুক্ষ হয়, যে পদার্থ উৎপন্ন হইলে দেহের অপেক্ষাকৃত লঘুত্ব হোলুক ভাব) হইয়া দেহের পরিচালন শক্তি বাড়ে, এবং অন্যান্য রসধাত্বাদির বিপরীত মত পরিচালন ও হয় তাহার নাম বায়’ এবং দেহস্থিত তাপক্ষ