পাতা:ধর্ম্মব্যাখ্যা (প্রথম পর্ব্ব).djvu/২৫৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

২৩৮ ধৰ্ম্মব্যাখ্যা । [ তৃতীয় (ধৰ্ম্মব্যাখ্যার প্রত্যেক কথায়-শাস্ত্রীয় বচন দেওয়া হয় না কেন ?) শিষ্য —এখন আর একটী কথা জিজ্ঞাসা করিব, অনুগ্রহ পূৰ্ব্বক ক্ষমা করিবেন, আপনি মুখে বলেন “শাস্ত্রার্থের ব্যাখ্যা করিতেছি” কিন্তু কাৰ্য্যে তো তাহার বড় কিছু দেখি না। কারণ আপনার প্রতি কথায় শাস্ত্র প্রমাণ দেথান হয় নাই, আর সঙ্গে ২ শাস্ত্রপ্রমাণ নাথাকিলেইবা কেবল কপোলকল্পিত হইলে এতগুলি কথা বিশ্বাস করা যায় কিরূপে ? আপনি সুখদুঃখাদি সম্বন্ধে এত কথা বলিলেন, কৈ, ইহাতে তে৷ শাস্ত্রের প্রমাণ একটিও দিলেন না ; কেবল এখানে নয় ; ধৰ্ম্মব্যাখ্যায় সৰ্ব্বত্রই এইরূপ দেখিতেছি। আচাৰ্য –কেন? খহুঃখের স্বল্প নির্ণয়ে দুটি প্রমাণ তো দেখাইয়াছি ? “বাধন লক্ষণং দুঃখম্” “শ্রীকুলবেদনীয়ং মুখম্” । পূৰ্ব্বেও প্রত্যেক সিদ্ধান্তের মুলেতো শাস্ত্রীয় প্রমাণ বলিয়াছি। কোন কথারই মূলটাতে আমার কল্পিত নহে, কেবল বিস্তার আকৃতিটি মাত্রই আমাদের কৃত। শিষ্য —তাহ হইলে চলিবে না, প্রত্যেক কথায় শাস্ত্রীয় প্রমাণ সঙ্গে সঙ্গে উদ্ধৃত করিলে তবে তাহ শাস্ত্রের সিদ্ধান্ত বলিয়া গণ্য করিব । - م" - আচাৰ্য্য –এবার আমাকে নিরুত্তর করার গতিক করিয়াছ, কারণ এ অভাব মোচনের আর কোন উপায়ই দেখিতে পাই না। উপায় কেন দেখি না তাহ বলিতেছি শুন,—পূৰ্ব্বকার লোক গুলিকে তোমরা বুদ্ধিমানই বল আর নিৰ্ব্বোধই বল, কিন্তু এই একটি ক্ষমতা ছিল যে তাহারা অল্প কথায়ই এক একটি বিষয় বিলক্ষণ বুঝিতে পারিতেন ; তৎপর যখন লোক সকল ক্রমে ক্রমে, বেশী বুদ্ধিমানই বল আর কম বুদ্ধিমানই বল, ফলতঃ অন্ত রকম হইতে লাগিল, তখন সেই মূল কথা গুলিরই আর একটু বিস্তৃতি করার প্রয়োজন হইল। তৎপর যখন আর একটু অন্য রকম হইল, তখন আরও বিস্তৃতির প্রয়োজন হয়, এইরূপ