পাতা:ধর্ম্মব্যাখ্যা (প্রথম পর্ব্ব).djvu/২৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ধৰ্ম্মব্যাখ্যা । >> তখন ইহাদের নাম "প্রবৃত্তি’ বা বৃত্তি’, আর যখন লীন অবস্থা হয়, তখন তাহার নাম ‘সংস্কার’ । - এতদুভয়ের বিশেষ এই ;—ধৰ্ম্মাধৰ্ম্মের বিকাশ অবস্থার কার্য্য সুস্পষ্টরূপে দৃষ্ট হইতে পারে, কিন্তু সংস্কার অবস্থার কার্য অতি স্বক্ষ, এনিমিত্ত তাহা সুস্পষ্ট বুঝা যায় না , হয়ত, সময়ে সময়ে কিছু মাত্রই অনুভবে আসে না । • মনে করুন, ভক্তি একটী, ধৰ্ম্ম । ইহা যখন মনোমধ্যে বিকাশিত হয়, তখন শরীর মধ্যেই ইহার কার্য্য বিলঙ্গরূপে অনুভূত হয়। আবার যখন ঐ ভক্তির ভাবট মনোমধ্যে বিলীন হয়, তখন আর কিছুমাত্র অনুভব হয় না । আরও দেখুন, ক্রোধ একটা অধৰ্ম্ম, ইহা যখন মনোমধ্যে বিকাশিত হয়, তখন চক্ষুদ্বয়ের রক্তিমাকার ও ফুসফুসদির বেগবত্তা বিলক্ষণরূপ পরিলক্ষিত হয়। কিন্তু যখন ঐ ক্রোধ বৃত্তিটা বিলীন হয়, তখন তাহার কিছুমাত্র অনুভব হয় না। ইহার তাৎপৰ্য্য এই –যখন দেখি বালককালের মুখস্থ করা ‘ক’ ‘খ’ বা কত শত গদ্য পণ্য এখনও মনে আসে, যাহা একবার দেখিয়াছি, যাহা একবার শুনিয়াছি, যাহা একবার ভাবিয়াছি, সমস্তই মনে আসে, উদ্দীপনার কারণ মাত্র পাইলেই ঠিক স্মরণ হয়, তখন ইহা নিশ্চয়রূপে বলা যায় যে, আমাদের মনে যত প্রকার প্রবৃত্তির বিকাশ হয়, তাহার কোনটাই একেবারে বিনষ্ট হয় না। কিন্তু কেবল সাম্যভাবেই মনোমধ্যে অবস্থিতি করে। যদি মনের ক্রিয়া বিকাশিত হইয়৷ একেবারেই বিনষ্ট হইত, তবে আমরা সহস্ৰ সহস্ৰ চেষ্টা দ্বারাও পুৰ্ব্ব পূৰ্ব্ব ঘটনা সকল মনে করিতে পারিতাম না। কিন্তু, মনের ক্রিয়ার নিয়ম এই যে, ঠিক একই সময়ে ভিন্ন প্রকারের দুইটা ভাব মনোমধ্যে বিকাশিত হয় না। কোন দর্শন বা স্পর্শনাদি ক্রিয়া হইতে হইতে যদি অন্য আর একটি দর্শন বা স্পর্শনাদি ক্রিয়া আসিয়া মনে উপস্থিত হয়, তখন এই শেষের ক্রিয়া দ্বারা ‘পূৰ্ব্বেকার দর্শন বা স্পর্শনাদি ক্রিয়াটা অত্যন্ত ক্ষীণ হইয়া বিলুপ্তপ্রায় হইয় পড়ে। তখন শেষে দর্শন বা স্পর্শনাদি ক্রিয়াটাই মনের উপর আধিপত্য করিয়া বিকাশিত হয়। এইপ্রকারেই