পাতা:ধর্ম্মব্যাখ্যা (প্রথম পর্ব্ব).djvu/২৮২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ধৰ্ম্মব্যাখ্যা । ২৬১ גנאי . উহা হইতে পৃথকৃ করা যায় না, অগ্নির উষ্ণতার ন্যায় যেন ক্রোধাদির মজ। মধ্যেই ঐ সকল গুণ নিহিত আছে, এবং উচ্চাদের বাধিত অধtiধত সকল অবস্থায়ই উছ অনুভূত হয় । শাস্ত্রও বলেন * ** তাপকস্ত রজসঃ সত্ত্বমেব তপাম * * * (পী, দ, ২ পা ১৭ স্ব ভাঃ ) । অত্তএব সেই অবস্থার নামই অলৌকিক দুঃখ। তাই শাস্ত্রে রজোগুণ মাত্রকেই দুঃখ স্বরূপ ৰলিয়াছেন ; রজোগুণপ্রভবশক্তিগুলি অনর্গলাদি অবস্থানুসারে সুখ, দুঃখ ও মোহ-স্বরূপ হইলেও, সত্ত্বগুণের ছলনায় কেবলই দুঃখ । কিন্তু ইহাও অন্তঃসার-সম্পন্ন ব্যক্তিরই অনুভব গোচর হয়। যাহাদের জন্তঃসার কিছুমাত্র নাই তাহার এই দুঃখ অনুমান করিতেও পারে না। এখানেও লৌকিক দুঃখের পাচটি সাদৃশু লইয়। ইহাকে দুঃখ বলিয়া ব্যবহার করা হয়। (১ম) অসহনীয়তা, (২য়) তীক্ষতা, (৩য়) খরতা, (৪র্থ) কঠিনতা, এবং (৫ম) গুরুত। ইন্দ্রিয় প্রাণাদি কোন শক্তি বাধিত-ভাবাপন্ন হইয়া যখন দুঃখাবস্থায় পরিণত হয়, তখন যেন কেমন একটা অসহনীয়ত, তীক্ষ্ণতা, ধরত, কঠিনতা এবং গুরুত্বভাবের অনুভূতি হইতে থাকে আবার কাম ক্রোধাদি রজঃক্তিগুলিরও যখুন বিকাশ হয়, তখন উহ অনর্গল বা বাধিত, যে অবস্থায়ই থাকুক না কেন তাহাতেই, ঐ সকল ভাবগুলি অনুভূত হয়। ভক্তি, ব্লিবেকাদি সত্ত্বশক্তির তুলনায় উহা যেন অত্যন্ত অসহনীয়, অত্যন্ত তীক্ষ, খর, কঠিন ও গুরুগুরু-ভাৱীভাৰী বলিয়া উপলদ্ধ হয়। এই সাদৃশু নিবন্ধন, রজঃশক্তিকেই দুঃখস্বরূপ বলিয়াছেন, সুতরাং কোনই বিরোধ নাই। এখন তমঃশক্তিকে মোহ বলেন কেন তাছাও শ্ৰেবণ কর । - তমোগুণকে মোহস্বরূপ বলেন কেন ? সুখদুঃখের ন্যায় মোছ ও লৌকিক, অলৌকিক, এই দুই ভাগে বিভক্ত। কোন শক্তির পুর্ণমাত্রায় উত্তেজনা হইলে সমস্ত প্রকার জ্ঞানাদি বিনষ্ট হইয়৷ থাকে এবং অস্তরেস্বত্বরে কেবল সেই শক্তিটিরই অনুভূতিটি থাকে—যাহা পূৰ্ব্বে বলিয়ছি (১৯১থঃ ২৪ পং)। তাঙ্গাই লৌকিক মোছ অবস্থা। অার