পাতা:ধর্ম্মব্যাখ্যা (প্রথম পর্ব্ব).djvu/২৯৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

२१२७ - ধৰ্ম্মব্যাখ্যা । [ চতুর্থ থাকে।” আরও “যৎ সম্বদ্ধং সং তদাকারোল্লেখিবিজ্ঞানং তৎ প্রত্যক্ষমৃ” (ঐ) বাহ বিষয় গ্রহণের নিমিত্ত আত্মার শক্তি স্নায়ু পথ দ্বারা অগ্রসর হইয়া আসিলে বাহ শক্তির সহিত তাহার মিলন হুইয়া মন পৰ্য্যন্ত সেই বাহ বিষয়ের তন্ময় হইয়৷ যাত্তয়ার নাম প্রত্যক্ষ জ্ঞান ’’ বাহা জ্ঞানের স্বৰূপ নির্ণয়। ইন্দ্ৰিয়-জনিত জ্ঞানের প্রণালী বুঝিতে পারিলে, এখন ষ্টেীমার জিজ্ঞাসিত বিষয় পৰ্য্যালোচনা করা যাইতে পারে। তোমার জিজ্ঞাসাছিল, “চক্ষু কর্ণাদি ইন্দ্রিয়ের দ্বারা যে সকল জ্ঞান উৎপন্ন হয়, উহা কি পদার্থ। উহা কি জীবাত্মা হইতে অতিরিক্ত কোন গুণ বা ক্রিয়াবিশেষের মধ্যে পরিগণিত হইবে, অথবা মুখ দুঃখাদির অনুভূতির ন্যায় উহাও সেই জীবাত্ম। বা “আমির" অনুভবের মধ্যেই গণ্য হইবে।” ইহার চরম সিদ্ধান্ত এই যে, ইদ্রিয় দ্বারা, কিম্ব যে কোন প্রকারে যে ফোন জ্ঞান হইয়া থাকে তৎসমস্তষ্ট, সুখ দুঃখাদি অনুভবের ন্যায়, আত্মার সেই চিরন্তন অনুভবেরই একএকবার গ্রহণ হওয়া মাত্র, তদ্ব্যতীত নুতন আর কিছুই জন্মিতেছেন। এবং উহা কোন গুণ বা ক্রিয় বিশেষও নহে, কিন্তু জীবাত্মা হইতে অতিরিক্তও কিছু নহে, উল্লাহ জীবের বিদ্যমানত বা প্রকাশ অবস্থ। মাত্র। ইহা বিশেষরূপে বুঝান । যাইতেছে,— মনে কর পুৰ্ব্বোক্ত মতে, (১৭৮ হইতে ১৮৫ পৃষ্ঠ পৰ্য্যন্ত) চৈতন্তের সাহায্যে তোমার নিজের অস্তিত্বটি মাত্র অস্তরে অস্তরে প্রকাশ পাইতেছে, অর্থাৎ তোমার সেই চিরন্তন “আমিনু” অমুভব হইতেছে। এখন একটি ঘট, তোমার সম্মুখস্থ হইলে,জ্ঞানের প্রণালী অনুসারে (২৬৮ ৭প) প্রথমে তোমার চক্ষুরিক্রিয় ঐ ঘটাকার গ্রহণ করিল, তখন “আলোচন-জ্ঞান” (২৬৯ পৃ ১০ প) হইল, তৎপর মনও ঐ আকার গ্রহণ করিল, তখন “এইটি ঘট” এইরূপ কল্পনা জ্ঞান হইল (২৬১ পৃ ২৭প) তৎপর বুদ্ধিও ঐ আকারে অtকারিত হইলে “আমি একটি ঘট দেদিতে পাইলাম” এইরূপ অধ্যবসায়ন্ত্রক জ্ঞান হইল, ইহারইত নাম “বাহ বিষয়ের জ্ঞান হওয়া ? তবে এখন ভাবিয়া দেখ,