পাতা:ধর্ম্মব্যাখ্যা (প্রথম পর্ব্ব).djvu/২৯৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ՀԳ8 . ধৰ্ম্মব্যাখ্যা । [ চতুর্থ ওদাকার হইয়া গেল। কিন্তু ইস্ক্রিয় তোমহেইতে ও তিরিক্ত কোন বস্তু নছে, তুমিই ইজিয়াবস্থা গ্রহণ করিয়া, চক্ষু পৰ্য্যন্ত প্রবাহিত হইয়া আসিয়াছ। অতএব ইঞ্জিয়ের ঘটাকারে আকারিত হওয়াই, তোমার নিজের ঘটাকার হওয়া ; ইহাই তোমার “আমির” পরিবর্তন অবস্থা । কারণ ঐ ঘটনার পূৰ্ব্বে তুমি ঘটাকারে আকারিত ছিলেন, তখন অন্যাকারে ছিলে; এখন ঘটের সন্নিধনিবন্ধন টাস্কারে পরিণত হইলে। অতএব এখন তোমার সেই পূৰ্ব্বকার “আমির” অনুভব বা জ্ঞানটা গ্রাহে আসিল । কিন্তু তোমার “আমি” যখন সেই সময়ে ঘটাকারেই পরিণত হইয়া গিয়াছে, তখন ঘটাকারেই তোমার “আমির” অনুভবটি গ্রাহে আসিল । ইহারই নাম “ঘটের জ্ঞান হওয়া” তাই তুমি বুঝিলে যে “এই আমার ঘটের জ্ঞান জন্মিল।” আবার যখন ক্ষণকাল পরে অন্যকোন বস্তুর সান্নিধ্যাধীন, প্রত্যক্ষপ্রণালী অনুসারে, তোমার “আমি” টা অন্যাকারে আকারিত হইয়া গেল ; তখন আর ঘটাকারে আকারিত থাকিল না। সুতরাং তখন তুমি বুঝিলে “আমার ঘটঙ্কান বিনষ্ট হইয়াছে, এখন পটের জ্ঞান হইতেছে।” কিন্তু বাস্তবিক ঘটের জ্ঞান জন্মেও নাই বিনষ্ট ও হয় নাই। কিন্তু তোমার ঘটাকারে আকারিত হওয়াট। নূতন করিয়া জন্মিয়ছিল বটে, এবং অন্ত বস্তুর সান্নিধ্যাদি হইয় তাহাই বিনষ্ট বা লুঙ্কিত হইয়া গেল । * . তৎপর মন আর বুদ্ধিও তোমার “আমির”ই স্বরূপ, উহা অতিরিক্ত কিছুই না। অতএব প্রত্যক্ষ প্রণালী অনুসারে মন এবং বুদ্ধি যখন ঐ ঘটাকারে আকারিত হইল, তখন তুমিই ঘণ্টাকারে আকারিত হইলে । অতএব তাহাও তোমারই “আমির" পরিবর্তন অবস্থা ; পরিবর্তন অবস্থা বলিয়াই তোমার সেই চিরঞ্জন “আমির” অনুভবটা গ্রাহে আসিল ; ক্ষেৎ পর অন্যান্য সমস্তও সমান । অতএব “ঘটপটাদির জ্ঞান” নামে কোন একটা গুণ বা ক্রিয়া জীবাত্মাতে জন্মে না, বা বিনষ্টও হয় না ; কিন্তু তত্তৎকালে জীবাত্মার অবস্থার পরিবর্তন নিবন্ধন আমাদের সেই চিরন্তন “জমির” অনুভবটাই গ্রাহ হইয়া থাকে। স্পৰ্শন শ্রবণাদি জ্ঞানেও এইরূপই বুঝিবে। ே