পাতা:ধর্ম্মব্যাখ্যা (প্রথম পর্ব্ব).djvu/২৯৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

· ‘있 ধৰ্ম্মব্যাখ্যা । [ চতুর্থ ন। কিন্তু বাহিরের ঘটপটাদি বিষয়ের যখন জ্ঞান হয়, তখন এইরূপ বোধ হয় যে, উহা যেন আমার নিজের অস্তিত্ব হইতে অনেকটা পৃথক ভাবে অবস্থিতি করিতেছে, তখন উহাই যে ঠিক “আমি” এরূপ যেন অনুভবে আইসে না। ইহাই সুখ দুঃখাদির জ্ঞান, আর ঘট পটাদিজ্ঞানের পার্থক্য । যদি আমার এই অনুভব ঠিক হয়, তবে ঘটপটাদির দর্শন কালে যে, আত্ম। তদাকারে পরিণত হইয়া যায়, তাহা কিরূপে বিশ্বাস করিব। যদি তাহা ন হইল, তবে ঘটপটাদির জ্ঞানকে, সুখ দুঃখাদি জ্ঞানের স্তায়, আমাদের সেই চিরন্তর “আমির” অনুভবের মধ্যে গণ্য করা হইতে পারে না। তবেই তাহাকে পৃথক্ আর একটা কিছু বলিতে হইবে। আচাৰ্য্য। এপ্রশ্নটি অতি মনোরম বটে ; কিন্তু পুৰ্ব্বের কথাটিতে, তুমি ভালরূপে অভিনিবেশ করিতে পারিলে; এ প্রশ্ন উথাপিত হইত না ; যাহা হউক আবার একটু বিস্তার করিলেই বেশ বুঝিতে পরিবে। ঘটপটদি বিষয়ের দর্শন স্পর্শনাদি ক’লে যে, পূৰ্ব্বে দ্রু রূপে (২৭৩ ) আয়া তদীকার প্রাপ্ত হয়, তাহাত কোনই সংশয় নাই। তথাপি উহাদিগকে, অtয়া হইতে পৃথকু ভাবে অনুভব করার বিশেষ কারণ অাছে। সুখ দুঃখ ও ভক্তি বিবেকাদি-বিকাশের সময়ে তোমার “আমির” তদা করে হওয়া, আর ঘটপটাদি দর্শন কালে তদাকারে মাকারিত হওয়া,এতদুভয়ের একটু ইতর বিশেষ আছে,—তাহা বলা স্নাইতেছে। চৈতন্ত বিমিশ্রিত জ্ঞানশক্তি, পরিচালন শক্তি, আর পোষণ শক্তির সমষ্টিই যখন তুমি (জীবাত্মা), তখন ঐ শক্তিত্ৰয় হইতে সমুদ্ভূত-ভক্তি, বিবেক,বৈরাগ্য এবং ক্রোধ, ঈৰ্ষা, অস্থয়াদি সমস্ত শক্তিরই সমষ্টি স্বরূপ তুমি ( জীবাত্ম' ) : উহার কোন শক্তিই তোমার নিজ হইতে পৃথগভূত কিছু নহে। অতএব ভক্তি প্রভৃতিবৃত্তির উত্তেজনা হইয় যখন তোমার অবস্থাত্তর হয়, তখন তোমার “আমির" মধ্যে, সত্ব শক্তিটার একটা সৰ্ব্বাঙ্গীণ পরিবর্তন অবস্থা হয় । তখন ভক্তি অবস্থা ব্যতীত আর তোমার সত্বশক্তির মস্তিত্বই থাকে না। আবার যখন অতি প্রবলভাবে ঐ ভক্তির বিকাশ হয়, তখন রজঃ-শক্তিজনিত-ক্রিয়াশক্তি , এবং ক্রোধাদি অন্তান্ত প্রবৃত্তি, আর তমঃশক্তিজনিত-পোষণশক্তি এবং অপ্তান্ত প্রবৃত্তি, সকলেই এককালে বিলুপ্তপ্রায় অবস্থায় পরিণত হয়। তখন