পাতা:ধর্ম্মব্যাখ্যা (প্রথম পর্ব্ব).djvu/৩২৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

So 8 ধৰ্ম্মব্যাখ্যা । [ চতুর্থ স্থল নিতান্ত সুহ্ম ; সুতরাং বোধ হইতেছে, যেন ধারাবাহী-ক্রমে একই সময়ে গানও শুনিতেছ গায়ককেও দেখিতেছ, বাস্তবিক তাহ নিতান্ত আসস্তব-নিতান্ত মিথ্য। পঞ্চেন্দ্রিয়ের অবস্থাগত ভেদ । এই ষে পঞ্চেঞ্জিয়ের একতা বিষয় বলিলাম, তাহা ইহাদের স্বরূপগত ; অর্থাৎ ইহাদের পাচেরই যে স্বরূপের একতা আছে, তাহাই লক্ষ্য করিয়া এইরূপ অভেদ নির্দেশ করা হইল। কিন্তু ইহাদের প্রত্যেকেরই অবস্থগত বিলক্ষণ পার্থক্য বা ভেদ আছে। মনে কর, স্থূল জলের মধ্যে যে যে পদার্থ আছে, স্থল বায়ুর মধ্যেও প্রায় সেই সেই পদার্থ আছে ; কিন্তু ঐ মূল পদার্থের বিমিশ্রণে, ভাগের তারতম্য আছে ; তথাপি ঐ মূল পদার্থগুলি ধরিয়া জল এবং বায়ুকে স্বরূপতঃ এ ক জিনিষ বলিতে পারা যায়। আবার ঐ মুল পদার্থের ভাগের তারতম্য ক্রমে একটি জলাবস্থা গ্রহণ করিয়াছে, আর একটি বায়ু অবস্থা গ্রহন করিয়াছে, সুতরাং এই অবস্থার দিকে দৃষ্টি করিলে জল আর বায়ু অত্যস্ত ভিন্ন। ইঞ্জিয় পঞ্চক সম্বন্ধেও এইরূপই বুঝিবে ইন্দ্রিয় পঞ্চকও স্বরূপতঃ এক, আবার অবস্থা দ্বারা সম্পূর্ণ ভিন্ন। কৰ্ম্মেস্ক্রিয় পঞ্চকও এইরূপ স্বরূপতঃ এক, আবার অবস্থাত, পরম্পরে সম্পূর্ণ পৃপকৃ। এবং পূৰ্ব্বে যে ইন্দ্রিয়, প্রাণ, ও মন, অভিমান বুদ্ধি । প্রভূতিকে এক বলিয়া আসিয়ছি, তাহীও এইরূপ স্বরূপগত একতা লক্ষ্য করিয়া। অর্থাৎ ইন্দ্রিয়, প্রাণ, মন, অভিমান, এবং বুদ্ধি প্রভৃতি সকলেই এক, আবার নিজ নিজ অবস্থা দ্বারা সকলেই ভিন্ন ভিন্ন দ্রব্য। মূল সত্ত্ব, রজ:, তমঃ এই ত্রিশক্তি বা , ত্রিগুণ হইতেই বুদ্ধির বিকাশ, এবং অভিমান, মন ও ইন্দ্রিয়াদি সকলেই একমাত্র বুদ্ধির বিস্তৃতি অবস্থা মাত্র ; এই হিসাবে সকলেই এক। কিন্তু ইহাদের প্রত্যেবের মধ্যেই আবার ঐ মূল উপাদান ত্রিগুণের ভাগ-তারতম্য থাকায়, ইহাদের পৃথক পৃথকৃ অবস্থা পৃথক পৃথক ব্যক্তি, বা আকুতি এবং পৃথক পৃথক নাম। বুদ্ধিরই একটু বিস্তৃতি বা স্থলাবস্থার নাম “ অভিমান ? বটে,-কিন্তু মূল গুণত্ৰয়,