পাতা:ধর্ম্মব্যাখ্যা (প্রথম পর্ব্ব).djvu/৫৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

లిసి ধৰ্ম্মব্যাখ্যা । যদি অনুসন্ধান করা যায় যে কি কারণে অন্য দেশের মানব প্রকৃতি অত্যন্ত অসম্পূর্ণ হইল, তবে দেখা যায় যে, দেশীয় প্রকৃতিই তাহার মুখ্যতম কারণ। চতুর্দশটা কারণ দ্বারা মানব প্রকৃতির বিকাশ বা অবনতি হইয়া থাকে, তন্মধ্যে স্থানীয় প্রকৃতি একটি প্রধান কারণ । যদি সেই চতুর্দশটা কারণই অনুকূলরূপে সাহায্য করে তাহা হইলেই মানব প্রকৃতির বিকাশ হইতে পারে। আর যদি কতগুলি কারণ প্রতিকূল থাকে তবে পূর্ণ উন্নতি হইতে পারে না, আবার প্রতিকূল কারণ অধিক হইলে অবনতি হইবারই কথা। ভারত ঘেঁ, দেশীয় প্রকৃতি উন্নতির অনুকূল বটে কিন্তু কুসংসর্গ, আলস্য, ও অনালোচনা প্রভৃতি কতকগুলি আগন্তুক দোষ আসিয়া আমাদিগকে সম্পূর্ণ আক্রমণ করিয়াছে। এই নিমিত্ত এই বর্তমান হর্দশা, এই নিমিত্তই সাওতাল প্রভৃতি জাতি ভারতবাসী হইয়াও পশুপ্রায়ে পরিণত। অন্য দেশে অলসতাদি আগন্তুক দোষ নাই বটে, কিন্তু অপরিহার্ষ্য স্থানীয় প্রকৃতিই তাঁহাদের সম্পূর্ণতার মুখ্যতম অন্তরায়। এখন দেখা যাউক কি প্রকারে অন্য দেশীয় প্রকৃতি র্তাহীদের পূর্ণতার অন্তরায়। যাহাদের শারীরিক প্রকৃতি অধিক প্রকার ভৌতিক প্রকৃতির অনুকুল, অর্থাৎ অধিক প্রকার ভৌতিক পরিবর্তনের সহিত যlহাদের শারীরিক প্রকতির সামঞ্জস্য থাকে, তাহাদের শারীরিক প্রকৃডিই অপেক্ষাকৃত সম্পূর্ণ হইতে পারে। শারীরিক প্রকৃতির সহিত মানসিক প্রকৃতির নিতান্ত ঘনিইত, সুতরাং বিধিমত উপায়ের অবলম্বন করিলে তাহদেরই মনুষ্যত্ব সম্পূর্ণ হইতে পারে, সেই দেশের মনুষ্যেই সম্পূর্ণ মনুষ্যত্বের অঙ্কর নিহিত আছে। আর যে সমস্ত দেশে ভৌতিক প্রকৃতির অনেক প্রকার পরিবর্তন নাই, সেই সকল দেশের লোকের শারীরিক প্রকৃতিই অপেক্ষাকৃত অসম্পূর্ণ, থাকিবার সম্ভব স্বতরাং মানসিক শক্তি অসম্পূর্ণ, অতএব সে দেশের লোকও অসম্পূর্ণ। দেখুন, আমাদের দেশে পর পর ছয় ঋতুর পরিবর্তন ; শীতের পর বসন্ত, বসজ্ঞেশ্বর গ্রীষ্ম, গ্রীষ্মের পর বর্ষা, বর্ষার পর শরত, শরতের পর হেমন্ত, হেমণ্ডের পর আবার শীত। পর পর এই ছয় ঋতুর পরিবর্তনে,-রূপ, রস, গন্ধ, স্পর্শ, শঙ্ক, সকল বিষয়েরই নানা প্রকার পরিবর্তন হয়, এবং সেই সকল পরিবর্তনই আমাদিগের সম্যক অনুভূত