পাতা:ধর্ম্মব্যাখ্যা (প্রথম পর্ব্ব).djvu/৫৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

8电 ধৰ্ম্মর্যাখ্যা । কেহ মনে করিতে পারেন মানুষের অনেক প্রকার কৌশল বুদ্ধি আছে অধ্যয়নাদি দ্বারাও অনেক পদার্থের বিচিত্র ও অদ্ভুত তত্ত্ব জানিতে পায়। ইহাই মানুষের মনুষ্য গরিম রক্ষা করিতে পারে । কিন্তু ইহা নিতান্ত ভ্রান্তিমূলক। কারণ ঐ সকল গুণ নুনাধিকরূপে মনুষ্য ব্যতীত অনেক প্রাণীতেই আছে। ভাবিয়া দেখুন বানরাদি দ্বিপদ পশুগণের কি কৌশল বুদ্ধি কিছুই নাই ? উহারু কি আপন আপন স্বার্থ সাধনের নিমিত্ত প্রয়োজনীয় কার্ষ্যকলাপ সম্পন্ন করে না ? দেখিয়া বা শুনিয়া কি কতকগুলি বস্তুকে আপনার পরিচিত করে না ?.অবশ্যই করে। তবে এই মাত্র বলা যায় যে মনুষ্যে ঐ সকল গুণ অধিক প্রকাশিত। তাই বলিয়া ঐ সমস্ত সাধারণ গুণের সহিত মনুষ্যত্বের কোন ঘনিষ্ট সম্বন্ধ নাই। সুতরাং ঐ সকল গুণের উন্নতি দ্বারা মম্বষ্যত্বের উন্নতি হয় না। অতএব ধৰ্ম্মোন্নতি না থাকিলেই মানুষগণ স্থল জ্ঞানের উন্নতি সত্ত্বেও মনুষ্য চৰ্ম্মে আবৃত পশু ভিন্ন আর কিছুই নহে। নিতান্ত জড় বুদ্ধিদের বিচিত্র পরিচ্ছদ, বিচিত্র ভবন, বিবিধ রসমুক্ত আহার, এবং দাস দাসীর সেবাদি দ্বারাও মনুষ্যত্বের অভিমান হইয় থাকে। কিন্তু তাহ যে নিতান্ত বৃথাভিমান তাহ ব্যাখ্যা করা অনাবশ্যক । কারণ বুiিমান মাত্রেরই উহা অবিদিত নাই । ধৰ্ম্মের ক্ষয়ে বংশ পরম্পরা মানুষের বনমানুষাদি হইবার সম্ভাবনা । মহাভারতাদি ইতিহাস এবং বর্তমান নানাবিধ জাজ্জল্যমান চিহ্লের প্রতি মনোনিবেশ করিলে ইহা অবশ্যই স্বীকাৰ্য্য যে, যে ত্রিপুরপৰ্ব্বতবাসীরা আজ কুকী বলিয়া বিখ্যাত, যে মণিপুরবাসীরা আজ নাগ বা মণিপুরে ভূত নামে পরিচিত এবং যে অঙ্গদেশবাসীরা সাওতাল বলিয়া ঘৃণিত ভাবে উপেক্ষিত হইতেছে, একদিন ঐ সকল জাতীয়েরা বাহ্মণ ও ক্ষত্রিয়াদি উৎকৃষ্ট আৰ্য্যজাতীয় থাকিয়া ভারতের যশঃসৌরভ দিগ দিগন্তে বিকীর্ণ করিয়াছিল । তাহারাই আজ ঈদৃশ্ব নরক অবস্থায় নিপতিত হইয়াছে। কারণ ইহাও ইতিহাসাদি দ্বারাই জানা যায় যে, ঐ সকল দেশে পূৰ্ব্বে প্রধান প্রধান ক্ষত্রিয় রাজগণের রাজধানী ছিল।