পাতা:ধর্ম্মযুদ্ধের বৃত্তান্ত.pdf/১০০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ধৰ্ম্মযুদ্ধের বৃত্তান্ত । *G অতএৰ তাহারদিগকে বিবেচনা করিবার অবকাশ দিবার জন্যে শ্বেতবর্ণ পতাকা দুই দিবস উড়ায় ছিল সেই পতাকাতে স্বর্ণময় তিন কপোত চিত্রকর ছিল। কিন্তু রাজার অনুগ্রহের এই চিহ্ন দেখিয়াও তাহার নিশ্চিন্তের মত থাকিয় কিছুমাত্র উদ্যোগ করিল না । পরে রাজপুত্রের আজ্ঞামতে ন্যায় নামক পৰ্ব্বতে বিচারক সেনাপতি রক্তবর্ণ পতাকা তুলিয়া দিল । তাহাতে জ্বলন্ত অগ্নিকুণ্ড চিত্র ছিল ঐ পতাকাও অনেক দিবস উড়ীয়াছিল । কিন্তু শ্বেতবর্ণ পতাকা দেথিয় যেমন নিশ্চিন্ত ছিল রক্তবর্ণ পতাকা দেখিয়াও তাহার তেমনি থাকিল। তথাপি রাজপুত্ৰ তাহারদিগকে নষ্ট করিলেন না । পরে আজ্ঞা করিলেন “ যুদ্ধ করিব, ইহার চিহ্নস্বরূপ কৃষ্ণবর্ণ পতাকা তুলিয়া দেওয়া যাউক ।” ঐ পতাকাতে তিন জ্বলন্ত বজু চিত্রিত ছিল। কিন্তু নরাত্মার লোক তাহ দেখিয়াও পূৰ্ব্বের ভাবেই থাকিল। এই প্রকারে দয়ার প্রস্তাব কি বিচারের কি দণ্ডের চিহ্ন প্রকাশ করিলেও তাহারদের কিছুমাত্র চৈতন্য জন্মিল না দেখিয়া, রাজপুত্র দয়াদু চিন্ত হইয়। কহিলেন, “ বোধ হয় এই অসম্ভব অ চরণের কারণ এই, ইহার যুদ্ধের রীতি ব্যবহার কিছু জানে না। আমারদের সঙ্গে যুদ্ধ করিতে ইহারা ভীত নয়, কিম্বা আপনারদের প্রাণ রক্ষা বিষয়ে চিন্তা করে না, এমন হইবে না । কিম্ব যুদ্ধের রীতি ব্যবহার যদিও জানিতে পারে তথাপি দিয়াৰলের সঙ্গে যুদ্ধ করিতে হইলে আমার যে রীতি ব্যবহার তাহা না জানিয়া থাকিৰে।” অতএব ঐ পতাকা উঠাইবার অভিপ্রায় জানাইতে এক দূত পাঠাইয় তাহারদিগকে জিজ্ঞাসা করিলেন, “অনুগ্রহ ও দয়া, কিম্ব বিচার ও দণ্ড, ইছার মধ্যে তোমরা কোনটা ভালবাস।” ইতিমধ্যে লোকের সাধ্যমতে আপনারদের সকল দ্বার অতি 西