পাতা:ধর্ম্মযুদ্ধের বৃত্তান্ত.pdf/১২৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ধৰ্ম্মযুদ্ধের বৃত্তান্ত । * * * দণ্ডকারক নষ্ট করিলেন। তাহারদের একজনের নাম কুস°২স্কার। পূৰ্ব্বে এক বার তাহার মন্তকে আঘাত হইয়াছিল, পরে স্বেচ্ছাৰলম্বী তাহাকে কর্ণদ্বারের রক্ষক করিয়াছিল । অন্য এক জনের নাম ব্যর্থভিন্নসমম্ভকৰ্ম্মানিচ্ছুক। সেও স্বেচ্ছাবলম্বির অধীন এক জন কৰ্ম্মকারক, ও কর্ণদ্বারে যে দুইটা কামান পাতা গিয়াছিল তাহারই রক্ষক ছিল,তাহাকেও দণ্ডকারক কাটিয়া ফেলিয়াছিলেন। তৃতীয় ব্যক্তির নাম বিশ্বাসঘাতক, সে অতি দুষ্ট কিন্তু স্বেচ্ছাবলম্বির বিশ্বাসপাত্র ছিল । তাহার সৈন্যেরদের মধ্যে অনেক বলবান ও সাহসিক লোককে ও দিয়াবলের অতি ভক্ত অনেক জনকেও নষ্ট করিলেন । কিন্তু তাহারা সকলে দিয়াবলের স্বদেশের লোক ছিল । নগরের লোকেরদের মধ্যে কাহাকেও নষ্ট করিলেন না । অন্য সেনাপতিরাও অত্যন্ত সাহসের অনেক কার্য্য করিলেন। বিশেষতঃ চক্ষুদ্ধারে সদাশ ও প্রেম ছিলেন। বদ্ধচক্ষু নামক ঐ দ্বারের রক্ষককে সদাশ। আপন হাতে নষ্ট করিলেন। বদ্ধচক্ষুর অধীন সহস্র সেনা ছিল তাহারা মুদার লইয়। যুদ্ধ করিত। তিনি ঐ সৈন্যেরদের পশ্চাতে গিয় তাহারদের কএক জনকে হত করিলে ও কতককে আঘাত করিলে, অন্য সকলে কোণেং গিয়া লুকাইয়া থাকিল। সেই দ্বারে কুবিরামও ছিল। তাহার কথা পূৰ্ব্বে লিথিয়াছি। সেই লোক বৃদ্ধ ও তাহার দাড়ি পেটপৰ্য্যন্ত দীর্ঘ । দিয়াবলের পক্ষে সেই বক্তা ছিল ও নগরের মধ্যে অতিশয় ক্ষতি করিত। তাহাকেও সদাশ নষ্ট করিলেন। অধিক কি লিখিব ! দিয়াৰলের অনেক লোক হত হইয়া নগরের কোণেধ পড়িয়া রহিল। তথাপি অনেক জন নরাত্মার মধ্যে লুকাইয়া থাকিল ।