পাতা:ধর্ম্মযুদ্ধের বৃত্তান্ত.pdf/১৩৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ধৰ্ম্মযুদ্ধের বৃত্তান্ত । ‘, ‘o o নষ্ট করিবেন, কখন ৰ অামারদের মরিতে হইবে, তিনি বা উপযুক্ত প্রতিফল দিয়া আমারদিগকে গভীর স্থানে ক্ষেলিয়া দেন, সেই স্থানে যাইবার বিষয়ে দিয়াবলও অত্যন্ত ভয় করিয়াছিল, এই প্রকারে তাহারদের নানামতের ভাবন হইতে লাগিল। আরও নগরের লোকেরদের সাক্ষাতে প্রকাশরুপে অপমান পাইয়া অতি সুশীল ও ধাৰ্ম্মিক রাজকুমারের খড়্গাঘাতে প্রাণ ত্যাগ করা অত্যন্ত দুঃখের বিষয়। যাহারদিগকে কয়েদ করা গিয়াছে তাহারদের জন্যে নগরের লোকেরাও অতিশয় ভাবিত হইল, কেননা তাহারাই তাহারদের আশ্রয় ও উপদেশক । তাহারা হত হইলে নরাআর অন্য কোন লোকের রক্ষা পাইবার কি অাশা হইতে পারে । এই সকল ভাবিতে ২ তাহারা ঐ কয়েদি লোকেরদের সঙ্গে মন্ত্রণা করিয়া রাজকুমারের নিকটে প্রার্থনাপত্র লিথিল ও জীবনেচ্ছ নামক এক ব্যক্তির দ্বারা পাঠাইল । সেই ব্যক্তি রাজকুমারের তাম্বুতে গিয়া প্রার্থনাপত্র তাহার হাতে দিল । পত্রের মৰ্ম্ম এই ৷ “ মহামহিম আশ্চৰ্য্য বুদ্ধিমন্ত রাজাধিরাজের নিকটে নগরবালি অতি অকিঞ্চন দীনহীন ব্যক্তিরদের নিবেদন এই ৷ আপনি আমারদের প্রতি প্রসন্ন হউন । অামারদের দোষ ও নগরের প্রধান ২ লোকেরদের পাপ অার মনে কfরবেন না। আপনি দয়ার সাগর। আপনকার দয়ার গুণে আমারদের প্রাণ রক্ষা করুন। আমরা না মরিয়া আপনকার দৃষ্টিতে বাচি। তাহা হইলে আমরা একান্তমনে আপনকার দাস হই । আপনি অনুমতি দিলে আপনকার উচ্ছিষ্টকুড়িয়া খাই।” রাজকুমার ঐ পত্র হাতে লইয়া কিছু উত্তর না দিয়া পত্রবহিককে বিদায় করিলেন । ইহাতে নরাত্মার আরও দুঃখ হইল। কিন্তু তাহারদের অন্য কি উপায় । প্লার্থনা ছাড়া