পাতা:ধর্ম্মযুদ্ধের বৃত্তান্ত.pdf/১৩৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

* のレ ধৰ্ম্মযুদ্ধের বৃত্তান্ত । তাহার। আর কিছু করিতে পারিল না। অতএব পুনরায় পরামর্শ করিয় তাহারা অার এক পত্র লিথিয়াছিল। তাছার মৰ্ম্ম প্রায় পূৰ্ব্ব পত্রের মত। কিন্তু পূৰ্ব্বে যে ব্যক্তি পত্র লইয়া যায় তাহাকে কিছু উত্তর না দেওয়াতে লোকের বোধ করিল যে তাহার কোন অসভ্য ব্যবহার হইয়া থাকিবে, ইহাতেই বা রাজকুমার বিরক্ত হইয়। উত্তর দেন নাই, অতএব তাহাকে এইবার পাঠান উচিত নহে । এই বিবেচনা করিয়া তাহারা পরামর্শ করিলে পর দোষাবধারক সেনাপতিকে কহিল, “রাজার নিকটে আপনি এই পত্র লইয়া যাউন।” তিনি কহিলেন “ আমি বিশ্বাসঘাতকেরদের নিমিত্তে ইম্মনুএলের নিকটে প্রার্থনা করিতে পারি না, বিদ্রোহিরদের সপক্ষ হইয় রাজসমীপে যাইব না। রাজা সুশীল বটেন অতএব নগরের কোন লোককে পাঠাইতে পার, কিন্তু সে গলায় রজু বাধিয়া কেবল দয়া প্রার্থনা করুক।” ইহা শুনিয়া নগরের লোকের ভয় করিয়! অনেক কাল বিলম্ব করিতে লাগিল। শেষে তাহারা ভাবিল “ অধিক বিলম্ব করিলে আমারদের আপদ ঘটিতে পারে।” অতএব তাহারা জাগ্রতেচ্ছা নামক এক ব্যক্তির দ্বারা পত্র পাঠাইতে স্থির করিল, তথাপি অত্যন্ত ভয়েতে সন্ধচিত হইয়া থাকিল। জাগ্রতেচ্ছা নগরের মধ্যে অতিক্ষুদ্র এক কুঠরীতে থাকিত। এক জন প্রতিবালির দ্বারা তাহারা তাহাকে ডাকাইয়া কহিল, “ আমর এইং কৰ্ম্ম করিয়াছি, আর রাজার নিকটে আমারদের এইং প্রার্থনা করিবার বাঞ্ছা হইয়াছে, তুমি এই পত্র তাঁহার নিকটে লইয়া যাও।” জাগ্রতেচ্ছ কহিল “নরাত্মা অতি প্রসিদ্ধ নগর, তাহার রক্ষার জন্যে আমি সাধ্যমতে কেন উদ্যোগ না করিব।” অতএব ঐ পত্র তাহার হাতে দিয়া কহিল, “রাজার নিকটে গিয়া তোমার এই ২ প্রকারে কৰ্ম্ম করিতে হইবে। তোমার মঙ্গল হউক ” পরে যুবরাজের ছাউনিতে যাইয়