পাতা:ধর্ম্মযুদ্ধের বৃত্তান্ত.pdf/১৩৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ধৰ্ম্মযুদ্ধের বৃত্তান্ত। ' ') ఏ পত্রবাহক কহিল, “ মহারাজার নিকটে আমার কিছু নিবেদন আছে।” তাহাতে কোন লোক ইমানুএলকে এই কথা জানাইলে তিনি বাহিরে আইলেন। জাগ্রতেচ্ছ তাহাকে দেথিলেই দণ্ডবৎ হইয় ডাকিয়া কহিল “মহরাজ কৃপা করুন, নরাত্মার রক্ষা হহঁক ।” পরে রাজার হাতে পত্র দিলে তিনি ঐ পত্র পড়িয়া মুখ ফিরাইয়া কঁদিতে লাগিলেন। ইতিমধ্যে পত্রবাহকও কঁদিতে ২ তাহার চরণে পড়িয়া থাকিল। পরে রাজা ক্ষান্ত হইয় তাহাকে কহিলেন “তুমি এইক্ষণে বিদায় হও, আমি তোমার প্রার্থনার বিবেচনা করিব।” ইহার মধ্যে নরাত্মার লোকেরা আপনারদিগকে মহাপাপি জানিয়া ও মনে ২ অত্যন্ত ভয় করিয়া সন্দেহু করিতে লাগিল যে রাজা আমারদের প্রার্থনা গ্রাহ্য করেন কি না । অতএব অত্যন্ত সন্ধচিত হইয় পত্রবাহকের ফিরিয়া আসিবার অপেক্ষা করিতে লাগিল । শেষে দেখিল ফিরিয়া আসিতেছে । আইলেই তাহারা জিজ্ঞাসা করিল “ তবে কি সম্বাদ বল। ইমুনুএল কি কহিয়াছেন। পত্র কোথায় দিলা ।” সে কহিল, “ এই স্থানে কিছুই কহিব না । নগরাধ্যক্ষ ও স্বেচ্ছাবলম্বী ও লেখক যে কারাগারে আছেন সে স্থানে গিয় সকলই কহিব ।” কারাগারে যাইতেই বহু লোক তাহার পশ্চাৎ যাইতে লাগিল । পত্ৰৰাহক কারাগারের দ্বারে অীসিয়া দেখল, নগরাধ্যক্ষের মুখ ভয়েতে মলিন হইয়াছে, লেখকও কঁাপিতেছে। তাহার জিজ্ঞাসা করিল "মহারাজা কি কহিলেন " জাগ্রতেচ্ছা কহিতে লাগিল, “আমি রাজতাম্বুতে গিয়া সম্বাদ দিলাম তাহাতে রাজকুমার বাহিরে আই লেন। কিন্তু তাহার যেমন ঐশ্বর্য ও তাহার মুথ যে সুন্দর । তাহাকে দেখিলেই আমি আর দাড়াইতে না পারিয়া তাহার পায়ে পড়িয়া পত্র দিলাম ; ও সেই কালে আমি কান্দিয়া কছিলাম, কৃপা করুন : রাত্মার রক্ষা হউক। তিনি পত্ৰ