পাতা:ধর্ম্মযুদ্ধের বৃত্তান্ত.pdf/১৩৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

", е ধৰ্ম্মযুদ্ধের বৃত্তান্ত । লইয়া পড়িয়া কহিলেন “এইক্ষণে বিদায় হও আমি তোমার প্রার্থনার বিবেচনা করিব।” পত্রবাহক আরো কহিল “ তোমরা আমাকে যে রাজার নিকটে পাঠাইলা তাহার অদ্ভুত গৌরব ও সৌন্দর্য, তাহ দেখিলেই ভয় হয় ভক্তিও জন্মে। আমি তাঁহাকে ভক্তি করি ভয়ও করি। তথাপি এই সকল ঘটনার শেষ ফল কি হবে তাহ বলিতে পারি না।" এই সকল কথা শুনিয়া যাহারা' কয়েদ ছিল ও অন্য যে সকল লোক পত্রবাহকের পশ্চাৎ২ গিয়াছিল তাহার রাজকুমারের ঐ কথার অর্থ বুঝিতে পারিল না। তাহার সকলই চলিয় গেল। পরে যাহার কয়েদ ছিল তাহারা এক স্থানে বসিয়া ঐ কথার ভাব আপনং বুদ্ধিমতে ব্যাখ্যা করিতে লাগিল। নগরাঙ্গ্যক্ষ কহিল “ আমার বিবেচনা এক্ট, ঐ কথাহইতে আমারদের ভয় করিবার কারণ নাই ।” স্বেচ্ছাবলম্বী কহিল, “ না, অমঙ্গলের লক্ষণ ” লেখক কহিল " এই মৃত্যুর দূত।" লোকেরদের মধ্যে কএক জন কিঞ্চিৎ বিলম্ব করিয়া কারাগারের নিকটে দাড়াইতেছিল । তাহারা ঐ কয়েদিরদের কথা পপষ্টরুপে বুঝিতে পারিল না। কেহ এক কথা ধরিল । কেহ অন্য কথা ধরিল । কেহ ই পত্রবাহকের কথা শুনিল কেহং কয়েদিরদের কোন কথা শুনিল। কিন্তু সপষ্টরূপে কিছু বুঝিতে না পারিয়া তাহারা সৰ্ব্বত্র বেড়াইয় যে গোলমাল করিল তাহার কি বলিব । তাহারা নগরের চারিদিগে গিয়া এক জন একরূপ কহে, অন্য জন তাহার ঠিক বিপরীত কহে । সকলই বলে, “আমার কথা সত্য, আমি যাহা কহি তাহ। আপন কাণে শুনিলাম, ইহাতে ভুল নাই।" এক জন কহিল, " আর কি, আমারদের তাৰতেরি নাশ ইইবে।” অন্য জন কহিল, “ কিছু না, আমরা সকলই রক্ষা পাইব ।” অপর জন কহিল, “যুবরাজ নরাত্মার বিষয়ে কিছুমাত্র মনোযোগ করিবেন না ।” অন্য