পাতা:ধর্ম্মযুদ্ধের বৃত্তান্ত.pdf/১৪১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

* *、*、 ধৰ্ম্মযুদ্ধের বৃত্তান্ত । দিগকে আপনকার নরাত্মা বলিয়া কহে কিন্তু আমরা তাহার যোগ্য নহি, কেবল গভীর স্থলে ফেলিবার যোগ্য । আপনি স^হার করিলে আমারদের উচিত দণ্ড হয় । আমারদিগকে গভীর স্থলে নিক্ষেপ করিলে আপনকার ন্যায় কাৰ্য্য হয় বটে। আপনি যাহা করেন ও অামারদের যে দণ্ড করেন তাহ। আমরা অন্যায় কহিতে পারি না । কিন্তু দয়া প্রকাশ হউক, আমারদের প্রতিও দয়া করুন। দয়; আমারদিগকে আশ্রয় দিউন ও পাপহইতে আমারদিগকে মুক্ত করুন, মুক্ত হইয় আমরা দয়ার ও সুবিচারের কীৰ্ত্তি করিব।” 软 এই প্রার্থনাপত্র প্রস্তুত করিয়া রাজকুমারের নিকটে পাঠইবার মনস্থ হইল। কিন্তু কাহার হাতে পাঠাইতে হইবে এই কথার বিবেচনা হইলে, কেহং কহিল, “প্রথমে যে গিয়াছিল এই বারেও সে যাউক ।” অন্যেরা কহিল, “ এ সৎ পরামর্শ নহে যেহেতুক সে জনের দ্বার কার্ষ্য সফল হইল না।" পুণ্য নামক বৃদ্ধ এক ব্যক্তি নগরে বাস করিত। তাহার নাম পুণ্য বটে, কিন্তু স্বভাব সৎ নয়। কেহং কহিল, “তাহাকেই পত্র লইয়। যাইতে দেও ’ কিন্তু লেখক আপত্তি করিয়া কহিল, “ না, এইক্ষণে দয়াতে আমারদের প্রয়োজন, দয়া প্রার্থনা করিবার কালে পুণ্যকে পাঠাইলে আমারদের প্রার্থন বিফল করিবার যে হয়। যখন দয়া প্রার্থনা করি তখন পুণ্য কি পত্রবাহক হইতে পারে। রাজকুমারের হাতে পত্র দিলে তিনি যদি জিজ্ঞাস করেন “তোমার নাম কি " সে কহিৰে, “ আমার নাম বৃদ্ধ পুণ্য।" তাছা শুনিলেই তিনি অনায়ালে বলিতে পারিৰেন যে, “বটে,নরাত্মতে কি পুণ্য আছে,তৰে পুণ্য তোমারদিগকে উদ্ধার করুক।” তাহা হইলে আমারদের নাশ নিশ্চয়ই হইল। সহস্র পুণ্যেতেও নরাত্মার উদ্ধার হইতে পারে না।” লেখকের এই কথা শুনিয়ানরাত্মার অন্য যে সকল প্রধান২ লোক কয়েদ ছিল তাহারাও কছিল, “তাঁহাই বটে।" অতএৰ