পাতা:ধর্ম্মযুদ্ধের বৃত্তান্ত.pdf/১৪২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ধৰ্ম্মযুদ্ধের বৃত্তান্ত। * 、○ বৃদ্ধ পুণ্যকে না পাঠাইয় তাহারা জাগৃতেচ্ছাকে পুনরায় পাঠাইতে স্থির করিল। পরে তাহাকে ডাকিয় কহিল, “ এই প্রার্থনাপত্ৰ লইয়া রাজকুমারের নিকটে তোমার আরবার যাইতে হইল।" সে কহিল, “এইক্ষণেই যাইব ।” তাহার কহিল, “সাবধান, তোমার কোন কথাতে কিম্বা কৰ্ম্মেতে যেন রাজা বিরক্ত না হন, তাহ হইলে কি জানি তিনি নরাত্মাকে সমপূর্ণরূপে নষ্ট করেন।” তাহা৩ে জাগৃতেচ্ছা কহিল, “সজলনয়নকে আমার সঙ্গে যাইতে দেও।” এই সজলনয়ন জগৃতেচ্ছার প্রতিবাসী ছিল । সে দরিদ্র ও ভগ্নমনা লোক, পরন্তু প্রার্থনা করিতে ৰিলক্ষণ নিপুণ । তাহাতে জাগৃতেচ্ছা আপন মাথায় দড়ি বাধিল ও সঞ্জলনয়ন হাত লাড়িতেই গেল । এই প্রকারে দুইজন রাজকুমারের তাম্বতে উপস্থিত হইল । রাজার নিকটে না আসিতে ২ তাহারা ভাবিতে লাগিল যে কি জানি এই তৃতীয়বার যাওয়াতে যদি রাজা বিরক্ত হন। অতএব তাম্বর দ্বারে গিয় তাহার প্রথমে কহিল “ আমরা ৰারম্বার আসিয়া ইম্মনুএলকে বিরক্ত করিতেছি ইহাতে আমারদিগকে ক্ষমা করিৰেন। আমরা নিজ মুখের উত্তমং আপনারদিগকে সুৰক্ত জানিয়া কথা কহিতে আইলাম তাহ নয়, কিন্তু আমারদের ন! আইলেই নয়। শাদাই রাজার ও রাজকুমার ইমুনুএলের নিকটে যত পাপ করিয়াছি তাহা মনে উঠিলে আমরা দিবারাত্রি দুঃখ পাইতেই থাকি, মুখের লেশও হয় না। আরো কি জানি জাগৃতেচ্ছরি কোন অনুচিত কাৰ্য্য দেখিয়া দয়ালু রাজা তাহাকে উত্তর না দিয়া বিদায় করিয়ছিলেন তাহাতেই বড় ভয় হয়।” এই কথা কহিলে পর জাগৃতেচ্ছা প্রথমে যেমন করিয়াছিল তেমনি মহারাজার চরণে পড়িয়া কহিল, “ হে মহারাজ কৃপা করুন, নরাত্মার রক্ষা হউক।” এই বলিয়া রাজকুমারের হাতে পত্র দিল। তিনি তাহ পড়িয়া কিঞ্চিৎ কাল মুখ ফিরাইয় ಗಣ!পরে পড়িয়া জাগৃতেচ্ছ যে &