পাতা:ধর্ম্মযুদ্ধের বৃত্তান্ত.pdf/১৪৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ধৰ্ম্মযুদ্ধের বৃত্তান্ত । و ية لا লই; উপস্থিত হইলাম, কিন্তু ভৃত্যবর্গের প্রতি তোমারদের যে ব্যবহার প্রভুর প্রতিও তদ্রুপ। আমারও সঙ্গে যুদ্ধ করি তে চাহিয়া দ্বার বন্দ রাথিলা ও অামি কথা কহিলেও কর্ণ বদ্ধ করিয়া যতক্ষণ পারিলা ততক্ষণ আমার বাধা করিলা । এইক্ষণে তোমারদিগকে জয় করিয়াছি। আমার সঙ্গে যুদ্ধ করিয়া যত কাল ভরসা ছিল তত কাল কি দয়া প্রার্থনা করিয়াছিল । এখন নগর অধিকার করিয়াছি তোমরা প্রার্থন করিতে আসিয়াছ । আমার অনুগ্রহের চিহ্নস্বরূপ শ্বেতৰণ পতাকা ও যথার্থের চিহ্নস্বরূপ রক্তবর্ণ পতাকা ও দণ্ডের চিহ্ন কৃষ্ণবর্ণ পতাকা যখন উড়াইলাম ও খন কেন দয়া প্রার্থনা কর নাই । তোমারদের রাজা দিয়াবলকে জয় করিলে তোমরা দয়া প্রার্থনা করিতেছ। তখন সেই বলবানের বিপক্ষ ই ইয়া আমার সাহায্য কেন করিল না । “ তোমারদের এই প্রকার কুরীতি যদিও হইয়াছে তথাপি আমি তোমারদের প্রার্থন বিবেচনা করিব, ও আপনার মহিমা যাহতে প্রকাশ পায় এমন উত্তর দিব । তোমরা এখন গিয় বিনেরেগশ ও দোষাবধারক সেনাপতিরদিগকে কহ, কল্য তাহার কয়েদিদিগকে আমার নিকটে ছাউনি স্থানে আনে । বিচারক ও দণ্ডকারক সেনাপতিরদিগকে কহ, তাহারা গড়ে থাকে, ও যাবৎ আমার অন্য আজ্ঞা না হয় তাবৎ নরাত্মার মধ্যে সকল বিষয় সুস্থির রাখে। ইহাতে ক্ৰটি না হয়।” এই কথা কহিয়া যুবরাজ মুখ ফিরাইয়া তাস্বতে গেলেন । পত্রবাহকেরা এই উত্তর পাইয়। ফিরিয়া যাইতে লাগিল । কিঞ্চিৎ দূরে গিয় তাহারা ভাবিতে লাগিল “ বুঝি নরাত্মার প্রতি রাজা দয়া করিবেন না ।” নগরের লোকেরা অত্যন্ত ব্যগ্র হইয়; ইহারদের ফিরিয়া বইবার অপেক্ষা করিতেছিল । তাহারা নগর দ্বারে উপস্থিত হইলেই অনেক লোক জিজ্ঞাস করিল, “ আমারদের প্রার্থনার