পাতা:ধর্ম্মযুদ্ধের বৃত্তান্ত.pdf/১৪৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ধৰ্ম্মযুদ্ধের বৃত্তান্ত। ४ ९ १ কি মঙ্গল। রাজস্থানের কি সম্বাদ । ইমানুএল কি কহিয়াছেন " তাহারা উত্তর করিল “ কারাগারে গিয়া সম্বাদ কহিব ।” সে স্থানে যাইবার কালে অনেক লোক তাহারদের পাছে ই চলিল। পরে কারাগারে উপস্থিত হইলে উক্ত ভাবনাতে অত্যন্ত বিষন্ন হইয় রাজকুমারের কথা প্রায় জানাইতে পারিল না, কেবল এই কহিল, “ রাজ কহেন তোমরা পিতার ও আমার বিপরীত কৰ্ম্ম করিয়া দিয়াবলকে মনোনীত করিয়। তাহার নিয়মেতে সম্মত হইল, তাহার সপক্ষে যুদ্ধ করিলা, তাহার কথা মানিলা, ও তাহার অধীন হইল, রাজাকে ও ঠাহার লোককে তুচ্ছ করিলা ।” এই কথা শুনিয়া ভয়েতে করাগারের লোকেরদের মুখ মলিন হইল। পত্রবাহকের আরো কহিল “যুবরাজ আরো কহিয়াছেন, তোমারদের প্রার্থন বিবেচনা করিবেন ও তাহার মহিম যাহতে প্রকাশ হয় এমত উত্তর দিবেন।” এই কথা কহিবামাত্রে সজলনয়ন দীঘ নিশ্বাস ফেলিল। তাঁহা দেখিয়া সকলই বিষন্ন হইয়া কিছুই কহিতে পারিল না। অত্যন্ত ভয় করিয়া মৃতপ্রায় হইল। লোকেরদের মধ্যে বৃদ্ধ জিজ্ঞাসুনামক অতি দরিদ্র বটে কিন্তু তাক্ষুবুদ্ধি প্রসিদ্ধ এক জন ছিল। সে জিজ্ঞাসা করিল “ মুনুএল যাহং কহিয়াছেন তাহ কি সমুদয়ই জানাইলা ।” তাহার কহিল " না।” জিজ্ঞাসু কহিল “ বটে তাহ বুঝিলাম । তবে আর কি কহিলেন ।” তাহার কিঞ্চিৎ কাল নিঃশব্দ থাকিয় শেষে সমুদয় কথা জানাইল, “ রাজা আজ্ঞ করিলেন তোমর বিনেরেগশ ও দোষাবধারক সেনাপতিরদিগকে কহ তাহার কয়েদি লোকেরদিগকে কল্য আমার নিকটে আনে। আমার স্থানে অন্য আজ্ঞা না পাওয়াপ র্য্যন্ত বিচারক ও দণ্ডকারক সেনাপতিরা গড়ে থাকিয় নগর রক্ষা করি’ে, এই সকল কথা কহিয়া যুবরাজ বিমুখ হইয় রাজকীয় । ठाश्रूड গেলেন।”