পাতা:ধর্ম্মযুদ্ধের বৃত্তান্ত.pdf/১৪৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

"> R、メ ধৰ্ম্মযুদ্ধের বৃত্তান্ত । বন্দি লোকেরদিগকে যুবরাজের ছাউনি স্থানে যাইতে হইবেক, এই কথা শুনিলেই সকলে দুঃখে মধু হইয়া যেরূপ কঁাদিতে লাগিল তাহাতে তাহারদের রব আকাশপর্য্যন্ত উঠিল । পরে বন্দি তিন জন কহিল “মরণের নিমিত্তে আমারদের প্রস্তুত থাকা উচিত, প্রাণ রক্ষার সম্ভাবনা নাই, কল্য সূৰ্য্যাম্ভ ন হইতেং মরিতেই হইবেক ।” লেখক কহিল, “আমারও এই ভয় অাছে।” নগরের সকল লোকও বোধ করিল, অামারদের সকলেরই একে২ মরিতে হইবেক । অতএব সেই সমস্ত রাত্রি সকল লোক মাটিতে বসিয়া বিলাপ ও অনুতাপ ও খেদ করিতে থাকিল। পরে যুবরাজের নিকটে কয়েদি লোকেরদের যাইবার কালে তাহার শোক দেখাইবার বস্ত্র পরিয়া মস্তুকে রজু বাধিল । নগরের সকল লোকও শোকের বস্ত্র পরিয়া নগরের প্রাচীরের উপর দাড়াইয়া রহিল। তাহারা ভাৰিল কি জানি আমারদের শোক দেখিয়া রাজার দয়া হয়। ইতি মধ্যে নগরের সকল কথা লইয়া যাহার চচ্চা করিয়া থাকে এমত দশ পাচ জন একং স্থানে একত্র হইয়া চতুর্দিগে দৌড়াদৌড়ি করিয়া কএক জন এক কথা অন্য কএক জন অন্য কথা কহিয়৷ মহা গোলমাল করিল। তাহাতে নরাত্মা প্রায় হতবুদ্ধি হইল। অনন্তর রাজার ছাউনি স্থানে যাইবার কালে তাহার এইরূপে চলিল। বন্দি লোকেরদের সমুথে বিনেরেগশ কএক জন তৈনাতি লইয়া চলিলেন। পশ্চাতে দোষাবধারক, মধ্যে বন্দির জিঞ্জির বদ্ধ হইয়া চলিল । এই প্রকারে তাহার বিষন্ন বদনে যাইতে লাগিল। তাহারদের সমুখে ও পাছে তৈনাতিরা পতাকা তুলিয়া চলিল। এই বিষয়ের আরও বিশেষ বিবরণ লিখি বন্দি লোকের শোকের বস্ত্র পরিয়া মন্তকে রজ বাধিয়া বুকে চাপড় মারিতে চলিল,স্বর্গপানে যে বারেক দৃষ্টি করে তাহারদের এমন সাহসও থাকিল না। নরাত্মার দ্বার দিয়া বাহিরে গিয়া রাজার সৈন্যদলের