পাতা:ধর্ম্মযুদ্ধের বৃত্তান্ত.pdf/১৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

“ এইক্ষণে বিষয় পাইয়াছি, শাদাই রাজা অামারদের প্রতি যাহা করিয়াছেন তাহার প্রতিফল দিবার উপায় হইল।” পরে তাহার উপৰিষ্ট হইয়া যুদ্ধের মন্ত্রণা করিয়া অতিপ্লসিদ্ধ নরাত্মা নগর অধিকার করিবার জিয়ম স্থির করিতে লাগিল । তৎকালে এই চারি কথার বিচার হইল । প্রথম । নরাত্মা নগর অধিকার করিতে আমারদের সকলের প্রকাশরুপে গমন করা উচিত কি না। দ্বিতীয়। আমারদের এই অতি কুদৃশ্যও ছিন্ন বস্ত্র পরিয়া নগরের নিকটে যাওয়া উচিত কি না। 據 তৃতীয়। নরাত্মা নগরের লোকদিগকে আমারদের অভিপ্রায় প্রকাশ করা, কি প্রবঞ্চন বাক্য ও ব্যাপারেতে কৰ্ম্ম নিৰ্ব্বাহ করা উচিত কি না । চতুর্থ। ঐ নগরের কোনং প্রধান লোককে চপে২ নষ্ট করিবার জন্যে আমারদের সঙ্গি কোন লোককে নিযুক্ত করিলে, অভিপ্রায় সিদ্ধ করণের উপায় হয় কি না । প্রথম কথার এই উত্তর হইল । নগরের প্রাচীরের নিকটে অামারদের সকলের উপস্থিত হওয়া উচিত নষ, কেনন অনেককে দেখিলে তাহারী ভয় করিবে । ক এক কিম্বা একি জন গেলে তাহারদের ভয় হইবে না । এই পরামর্শ দৃঢ় করিবার জন্যে দিয়াবল কহিল, “নরাত্মা নগরীয় লোক যদি ভয় করে কিম্ব আমরা শক্র ইহার গন্ধও পায়, তবে নগর অধিকার করা অসাধ্য হইবে, কেননা তথাকার লোকের অনুমতি বিনা কেহ প্রবেশ করিতে পারে না। অতএব অতি অল্প বর°২ একি জন মাত্র নরাত্মাতে আক্রমণ করুক, ৰোধ করি আমিই করিলে ভাল হয়।” ইহাতে সকলই সম্মত হইল। দ্বিত্বীয় কথাতে, অর্থাৎ আমাদের এখন যে অভি কুদৃশ্য ও ছিন্ন বস্ত্র আছে তাহ পরিয়া নগরের নিকটে