পাতা:ধর্ম্মযুদ্ধের বৃত্তান্ত.pdf/১৫০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ধৰ্ম্মযুদ্ধের বৃত্তান্ত >* ふ মধ্যে উপস্থিত হইলে সৈন্যেরদের তেজ দেখিয়া পূৰ্ব্ব হইতে অত্যন্ত ব্যাকুল ও উৎকণ্ঠিত হইল । তাহাতে তাহার নীরব থাকিতে না পারিয়া অতি উচ্চশবেদ চেচাইয়া কহিল “ হায় আমরা কি দুঃখগ্ৰস্ত, হায় নরাত্মা কি দুভগা ।” তাহারদের বিলাপের শব্দ সহিত জিঞ্জিরের ঝন শবদ শুনিয়া কাহার দুঃখ ন হইল । যুবরাজের তামুর দ্বারে উপস্থিত হইলে তাহারা উবুড় হইয়া পড়িল । পরে রাজকুমারের নিকটে এক জন নিবেদন করিল “নরাত্মার বন্দির অসিয়াছে।” যুবরাজ সিংহাসনে বসিয়া কহিলেন " তাহারদিগকে সমুখে আন।” তাহারা সম্মুখে গিয়া অত্যন্ত কঁাপিতে লাগিল ও লজ্জাতে মুথ চাকিয়া থাকিল। আসনের নিকট গিয়া উবুড় হইয় পড়িল রাজা বিনেরেগশকে কহিলেন “উহারদিগকে দড়াইতে কহ ।” তাহার কঁাপিতেং দাড়াইলে, রাজকুমার কহিলেন “ তোমরা কি শাদাই রাজার দাস ছিল ।” তাহার কহিল “ ই প্ৰভু ই৷ ” তিনি কহিলেন “দুষ্ট দিয়াৰল তোমারদিগকে নট ও ভুষ্ট করিলে তোমরা তাহ সহ্য করি ল|” তাহার কহিল “ হে প্রভো অধিক ও হইয়াছে আমারদের সমপূর্ণ সম্মতিও ছিল " রাজা আরও কহিলেন “তাহার অধীনে তোমরা কি যাবজ্জীবন দাস হইয়া থাকিতে সন্তুষ্ট হইত।” তাহারা কহিল “ ই প্ৰভু ই, কেননা তাহার উপদেশে শরীরের তুষ্টি হয়। পূৰ্ব্বে আমারদের যে ভাল অবস্থা ছিল তাহ চাহিলাম না।” রাজা কহিলেন “আমি যখন নরাত্মার সঙ্গে যুদ্ধ করিতে গিয়াছিলাম, তখন তোমারদিগকে জয় করিতে না পারি, তোমারদের মনের এই সমপূর্ণ ইচ্ছা ছিল কি না।" তাহার কহিল “ই। প্রভু হুঁ।” তাহাতে রাজা কহিলেন “ এই সকল ও আর ২ ভারিং দোষপ্রযুক্ত তোমরা কি দণ্ডের যোগ্য ।” তাহারা কহিল “ আমরা মরণের ও নরকের যোগ্য ।” পরে রাজ