পাতা:ধর্ম্মযুদ্ধের বৃত্তান্ত.pdf/১৫৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ধৰ্ম্মযুদ্ধের বৃত্তান্ত * ○ 。 চৰ্ম্মেতে লিখিত ও সাত মোহরযুক্ত সাধারণ ক্ষমাপত্ৰ দিয়া স্বেচ্ছাবলম্বিকে ও লেখককে কহিলেন “কল্য সূর্য্যোদয় না হইতেই এই পত্রের সমুদয় কথা নরাত্মা নগরের সমস্ত লোককে জানাও ৷” পরে যুবরাজ তাহারদের শোকের বস্ত্ৰ লইয়া ছাইর পরিবৰ্বে সুন্দর মুকুট, ও শোকের পরিবর্তে সুখরুপ তৈল ও দুঃথিত মনের পরিবর্তে স্তুবরূপ বস্ত্র দিলেন (যিশ। ৬১ ॥ ৭) । পরে তিনি ঐ তিন জনকে স্বর্ণ ও বহুমূল্য মণিতে রচিত অলঙ্কার দিলেন ও মন্তকের রজ লষ্টয় তাহারদের গলায় সুবর্ণমালা ও তাহারদের কর্ণে কুণ্ডল দিলেন। ইমানুএলের দয়ার কথা শুনিয়া তাহারা শক্তি হীন হইয়া দাড়াইয়া থাকিতে পারিল না, ফলতঃ তাহারদিগকে এই প্রকারে রক্ষা করা যাইৰে ও তাহারা এমন অনুগ্রহের পাত্র হইবে ও এত মঙ্গল পাইৰে তাহা স্বপ্নেও সম্ভব হয় না, সুতরা-১ তাহারা আশ্চৰ্য্য বোধ করিয়া প্রায় দাড়াইতেও পারিল না। স্বেচ্ছাবলম্বী মৃতপ্রায় হইয় পড়িল, কিন্তু যুবরাজ তাহার নিকটে গিয়া আপন অনন্ত বাহু বিস্তার করিয়া তাহাকে আলিঙ্গন করিয়া চুম্বন করিয়৷ কহিলেন “স্থির হও আমি যাহা বলিয়াছ তোমারদের সেই মঙ্গলই হইবে।” অন্য দুই জনকেও চুম্বন ও আলিঙ্গন করিলেন ও মুখ প্রসন্ন করিয়া কহিলেন "এই আমার প্রেম ও অনুগ্রহ ও দয়ার চিহ্ন ! হে লেখক তুমি যাহ দেখিয়াছ শুনিয়াছ তাহা নরাত্মাকে কহ, এই আমার আজ্ঞা ।” পরে তাহারদের পায়ের বেড়ি তাহারদের সমুখে খণ্ডং রুপে ভাঙ্গিয় বাতাসে উড়াইয়া দেওয়াইলেন, তাহাতে মুক্ত হইয় যুবরাজের চরণে পড়িয় চরণ চুম্বন করিয়া অশ্রুতে ধুইল ও অতি উচ্চ শব্দে কহিল “ এই স্থানহইতে প্রভুর মাহাত্ম্য ধন্যং ” অনন্তর যুবরাজ আজ্ঞা করিলেন “তোমরা উঠিয় নগরে যাও ও আমি যাহা করিয়াছি তাহা নরাত্মাকে কহ ।”