পাতা:ধর্ম্মযুদ্ধের বৃত্তান্ত.pdf/১৫৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ধৰ্ম্মযুদ্ধের বৃত্তান্ত । ‘, විශ් করিল “ সকল লোককে এই সম্বাদ দেও, কাইল তাহার হাটে আঠলে ক্ষমাপত্র পাঠ করা যাইবে ।” এই সম্বাদ শুনিয়া সকল লোকের বদনে আনন্দ প্রকাশ হইল ও সেই রাত্রিতে পরমানন্দ প্রযুক্ত কেহ ঘুমাইতে পারিল না। প্রতি ঘরেং আনন্দ ও বাদ্যধ্বনি ও গান ও সৰ্ব্বপ্রকার আমোদ । সকলেই ইমানুএলের প্রশ৭১সা করিতে ও র্তাহার পুশ^সার কথা শুনিতে রাত্রিযাপন করিল, ও পরস্পর কহিতে লাগিল “কল্য সূৰ্য্য উঠিলে আমরা আরো অধিক গুনিতে পাইব । এমন কথা শুনা যাইবে তাহ কাইল কে বুঝিতে পারিত। যাইবার সময়ে আমারদের কুলীনেরদের পায়ে বেড়ি ছিল, তাহার যে সোণার মালা পরিয়া ফিরিয়া আসিবে কাহার এমন বোধ ছিল । তাহারা আপনার দিগকে দণ্ডের যোগ্য জানিয়াছিল, কিন্তু বিচারকর্তা রাজকুমার তাহারদিগকে মুক্ত করলেন, নির্দোষি বলিয়া নহে কিন্তু দয়া প্রকাশ করিয়া তাহারদিগকে ক্ষমা করিলেন, ও বাদ্যধ্বনির সহিত ফিরিয়া পাঠাইলেন । এই কি রাজারদের ব্যবহার। শত্ৰুরদের প্রতি রাজারা কি এই প্রকার দয়া প্রকাশ করিয়া থাকেন । না । এই দয়া কেবল শাদাই রাজার ও র্তাহার পুত্র ইমুনুএলের ধৰ্ম্ম ।" অপর ভোর হইলে নগরের সকল লোক হাটে গিয়া থাকিল । নগরাধ্যক্ষ ও স্বেচ্ছাবলম্বী ও লেখকও গেলেন । রাজকুমার পূৰ্ব্ব দিবসে যে সুন্দর সাজ ও তেজ তাহারদিগকে দিয়াছিলেন তাহ পরিয়া গেলেন, আর অলঙ্কারাদির তেজেতে পথ আলো করিল। হাটের প্রান্তভাগে মুখদার, পূৰ্ব্বকালাবধি ঘোষণাপত্ৰ সেই দ্বারে পাঠ করা যাইত ! বীণাবাদকের বাদ্য করিতেই সমুথে চলিল। পত্রের বিস্তারিত কথা শুনিতে সকল লোকের অত্যন্ত বাসন । ? ९