পাতা:ধর্ম্মযুদ্ধের বৃত্তান্ত.pdf/১৫৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

*> ○○ ধৰ্ম্মযুদ্ধের বৃত্তান্ত । পরে লেখক দাড়াইয়া হাত বাড়াইয়া লোকদিগকে মনো[ক্ষমা পত্র পাঠ যোগ ক্ষরিবার সঙ্কেত করিয়া অতি উচ্চকরণ }] স্বরে ক্ষমাপত্র পাঠ করিতে লাগিল । পড়িতেং “ পরমেশ্বর, প্ৰভু পরমেশ্বর দয়ালু ও কৃপাবান এব^ অধর্মের ও আজ্ঞালঞ্জনের ও পাপের ক্ষমাকারী, ও তোমরা যে সমস্তু পাপ ও ঈশ্বরের নিন্দ করিয়াছ সেই সকল অপরাধের ক্ষম হইবেক” এই কথা যখন পড়িলেন তথন সকলে আনন্দেতে লম্ফ দিতে লাগিল । ঐ ক্ষমাপত্ৰেতে নগরের প্রত্যেক জনের নামও লেখা ছিল ও তাহাতে যে মোহর ছিল তাহ অতি সুপ্রকাশিত। লেখক ঐ ক্ষমাপত্র পাঠ করিলে পর, নগরের লোকের তোহারা ইন্দ্রিরকে প্রাচীরের উপরে দৌড়াদৌড়ি করিয়া দমন করে 1} আনন্দেতে লম্ফ দিতে লাগিল, ও ইমুলুএলের ছাউনির দিগে সাতবার নমস্কার করিয়া উচ্চস্বরে কহিল “ ইমানুএল চিরজীবী হউন।" পরে যুব লোকদিগকে ঘণ্টা বাজাইতে আদেশ হইল। তাঁহাতে ঘণ্টা বাজিল, লোকের গীত গাইতে থাকিল, নরাত্মার ঘরে ২ বাদ্যধ্বনি হইতে লাগিল, আনন্দের পরিসীমা নাই । ইমুনুএল যে সময়েতে আনন্দ ও বাদ্যধ্বনি সঙ্গে দিয়া উক্ত প্রধান তিন জনকে বিদায় করিয়াছিলেন সেই সময়ে তিনি অপন সৈন্য ও সেনাপতিরদিগকে আজ্ঞা করিলেন, “ যে কালে নরাত্মার নিকটে ক্ষমা পত্র পাঠ করা যায় তৎকালে তোমরা অমার আজ্ঞামতে কাৰ্য্য করিতে প্রস্তুত হও ।” লেখক ক্ষমাপত্র পড়িয়া সমাপ্ত করিলেই ইমুনুএল আজ্ঞা করিলেন, “ ছাউনির মধ্যে যত তুরী থাকে সকল লইয়া মহাধ্বনি করা যাউক, ও অনুগ্রহনামক ও ন্যায়নামক পৰ্ব্বতে পতাকা তোলা যাউক । আরো সমস্তু সেনাপতি আপনং ৬পযুক্ত সাজ পরিয়া থাকুক ও সৈন্যের আনন্দ ধ্বনি করুক।” সেই সময়ে নগরের প্র