পাতা:ধর্ম্মযুদ্ধের বৃত্তান্ত.pdf/১৬৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ধৰ্ম্মযুদ্ধের বৃত্তান্ত * 8. § দাড়াইল । পরে তিনি অমাত্য ভৃত্যগণকে লইয়া নরাস্বায় প্রবেশ করিলেন। গড়ের দ্বারপর্যন্ত বৃদ্ধের তাহার সম্মথে নাচিতে চলিল । তিনি এইরূপে আইলেন । রাজকুমার সোণার সাজেতে সুশোভিত হইয় রাজকীয় রথে বসিলেন। র্তাহার চারিদিগে লোকের তুরী বাজাইতে লাগিল ও পতাক উড়িল, তাহার পিছনে দশ সহস্র সৈন্য, ও নরাত্মার বৃদ্ধের নাচিতে অগ্রেং চলিল। মহাত্ম রাজাকে ও রাজকীয় সৈন্যেরদিগকে দেখিবার নিমিত্তে বহুতর লোক প্রাচীরে উঠিল, ও নগরের যে মঙ্গল হইতেছে তাহ দেথিতে অনেক লোক কেহ ঘরের দাওয়াতে, কেহ বা খিড়কী দ্বারে, কেহ বা ছাতে দাড়াইল । লেখকের বাটীর সমুখে আইলে ইমানুএল এক জনকে কহিলেন, “ তুমি প্রত্যয় সেনাপতির ঘরে গিয়া দেখ, নরাত্মার গড় আমারদের থাকিবার জন্যে প্রস্তুত হইয়াছে কি না ।” কেননা সেই গড় প্রস্তুত করিবার ভার ঐ সেনাপতির উপর ছিল । সেই লোক ফিরিয়া আসিয়া কহিল “ প্রস্তুত হইয়াছে।" (প্রেরি, ১৫ । ১) ঐ প্রত্যয় সৈন্যাধ্যক্ষের প্রতিও এই আজ্ঞা হইল, “তুমি সমস্ত সৈন্য লইয়। রাজার সঙ্গে সাক্ষাৎ করিতে আইস।” পরে প্রত্যয় ইমুনুএলকে গড়ে আনিলেন (এফি ৷ ৩ ৷৷ ১৭)। রাজ ও র্তাহার বলবান সে' নাপতিরা ও যোদ্ধা সেনারা সেই রাত্রে গড়ে থাকিলেন, তা হাতে নগরের লোকেরদের অত্যন্ত আনন্দ হইল । পরে রাজার সেনাপতির দেয় ও সৈন্যেরদের বাস করিবার উপযুক্ত স্থান পাইবার জন্যে লোকেরদের অত্যন্ত উদ্যোগ হইতে লাগিল । তাহারদিগকে স্থান দিতে চাহে না এমত কেহই ছিল না, প্রত্যেক জনের ঘরে যত সৈন্য ধরে তত সৈন্যকে আনিয়া ঘর পূর্ণ করিল, আর প্রত্যেক জনই আমার ঘরে সকল সৈন্য রাখিবার স্থান নাই বলিয়া খেদ করিতে লাগিল,