পাতা:ধর্ম্মযুদ্ধের বৃত্তান্ত.pdf/১৭৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ধৰ্ম্মযুদ্ধের বৃত্তান্ত ・"> 3 ○ বিচারকত্ত্ব কহিলেন “ এই ব্যক্তি বড় দুঃসাহস দেখিতেছি, এখনও সাহস করিয়া দুষ্টামি ছাড়ে না। ইহাকে লইয়া যাও, সদ্বিস্মরণকে আন ।” পরে সদাচারী কহিল “ হে সম্মিরণ তোমার নামে এই দোষ দেওয়া গিয়াছে, তুমি আপন ইচ্ছাতে নগরে ঢুকিয় ন রাত্মা নগরের সমস্ত কার্য্য যখন তোমার হাতে ছিল তখন লোকেরদের মঙ্গল করিতে ভুলিয়া, শাদাই রাজার ও তাহার সেনাপতি ও সৈন্যাদির সঙ্গে যুদ্ধ করিতে দিয়াবলের সাহায্য করিয়াছিল, ইহাতে শাদাই রাঙ1র অনাদর ও তাহার আজ্ঞালঞ্জন হইয়াছে নরাত্মা নগরের বিনাশ সম্ভাবনাও হইয়াছিল, অতএব ই হাতে তুমি দোষী আছ কি না।” সদ্বিস্মরণ কহিল “ হে বিচারক মহাশয়ের আমার নামে যে সকল দোষ দেওয়া গিয়াছে তাহা অামি ডানিয়! শুনিয়া করি নাই, বুড় হইয়া ভুলে করিয়াছি, সাবধান না হইয়া দোষ করিলাম তাহাও নয়, আমার বুদ্ধির দোষ হইয়াছে। তাহাতে আপনি দোষা স্বীকার করিতে হইল, কিন্তু প্রার্থনা করি মহাশয়ের কৃপা করিয়া আমাকে মাফ করুন, ভারি দণ্ড করবেন ु ।' তাহাতে বিচারকত্ব কহিলেন “ ওরে সম্মিরণ তোমার দ্ধির দোষেতে ভাল কথা মনে থাকিত না এই কথা সত্য নয় । ভাল কথা মনে রাথিতে চাহিল; না । মন্দ কথা মনে রাথিত,1, ভাল কথা মনে থাকিতে দিত না । এখন আপনকার বয়সের ও বুদ্ধির দোষের কথা বলিতেছ, তাহ কেবল ছলনা, বিচারকত্তারদিগকে ভুলাইতে চাহ। কিন্তু সাক্ষরদের কথা শুনি । এই লোক দোষ কি না ।” মিথ্যান্থণ কহিল “ মহাশয় এই সদ্বিস্মরণ আমার সাক্ষাতে এই কথা কহিয়াছে, কোন ভাল কথা পোয় ঘণ্টা মনে থাকে এমন চাহি না ।” *