পাতা:ধর্ম্মযুদ্ধের বৃত্তান্ত.pdf/১৭৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ধৰ্ম্মযুদ্ধের বৃত্তান্ত ..', 3 & স্থার নিকটে দোষ করিলে তুমি তাহারদিগকে খেদ ও অনুতপ করিতে দিলা না । ইহাতে কি কহ, তুমি দোষ কি না । কঠিন হৃদয় কহিল “ মহাশয় খেদ কি অনুতাপ কি, তাহ। আমি কখন জানি না, আমার মন অভেদ্য, কোন মানুষের অপেক্ষ করি নী, পরের দুঃখেতে আমার দুঃখ হয় না, পরের ৰিলাপ শুনিলে আমার মনে শোক হয় না, কাহারে ক্ষতি fক অন্যায় হইলে তাহার ক্ৰন্দন আমার কাণে মিষ্ট স্বরের সুতি লাগে । বিচারকর্ড কহিল “ দেথ এই ব্যক্তি নিতান্ত দিয়াৰলের লোক, কথাতেই ইহার দোষ নিশ্চয় হয়, অতএব ইহাকে এক দিগে রাথ ও কল্পিতশান্তিকে অাম । আন গেলে সদাচারী কহিল “ কল্পিতশান্তি নাম ধরিয়া তোমার নামে এই দোষ দেওয়া গিয়াছে, তুমি আপন ইচ্ছামতে নগরে প্রবেশ করিয়াছ ও নগরের লোকের পপি ও নরকের উপযুক্ত দুষ্ট হইলেও তুমি তাহারদের মনে কল্পিত ও অনলক্ষ ও ক্ষতিজনক শান্তি জন্মাইয়াছিল, তাছাতে রাজার অনাদর হইয়াছে, তাহার ব্যবস্থা লক্ষ্মনও হইয়াছে ও নগরের অত্যন্ত ক্ষতি করিয়াছ, ইহাতে কি বল তুমি দোষী হইয়াছ কি না ।" তাছাতে কল্পিতশান্তি কহিল “ বিচারক মহাশয়েরা আমার নাম কল্পিতশান্তি নহে, আমার নাম শান্তি যাহার অ|মাকে ভালমতে চিনে এমত কোন লোককে জিজ্ঞাসা করুন, কি আমার জন্মকালে যে ধাত্রী ছিল তাহাকে, কি আমার নামকরণ কালে যাহার উপস্থিত ছিল তাহারদিগকে জিজ্ঞাসা করুন, তাহারাই প্রমাণ দিবে । অতএব যে নালিশ পত্র পাঠ হইয়াছে তাহার উত্তর আমি দিতে পারি না, আমার নাম তাহাতে নাই, আমার প্রকৃত নাম যেমন তেমনি স্বভাব, আমি নিতাই শান্তিভাবে কাল কাটাইতে ভালবাসি। আর আপনি