পাতা:ধর্ম্মযুদ্ধের বৃত্তান্ত.pdf/১৮২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ধৰ্ম্মযুদ্ধের বৃত্তান্ত। ..? & পরে সদাচারী কহিল "মিথ্যাবৃণ তুমি ইহার কি জান ।” মিথ্যান্থণ কহিল “মহাশয় এই ব্যক্তি কহিয়াছে ধর্মের সঙ্গে দুঃখ অপেক্ষ অধৰ্ম্মের পথে শান্তি পাওয়া ভাল।” সদাচারী কহিল “ এই কথা কোথায় কহিয়াছিল।” মিথ্যাবৃণ কহিল “ আত্মপ্রবঞ্চক মদিরালয়ের নিকটে মুখতা বাগানে নিৰ্ব্বেধি নামক ব্যক্তির ঘরে, আমার সাক্ষাতে এই কথা বিশবার কহিয়াছে।” সদাচারী কহিল “ আমারদের আর সাক্ষির প্রয়োজন নাক্ট এই সাক্ষ্যই সমপূর্ণ ও সুস্পষ্ট। অতএব ইহাকে লইয়া যাও। সত্যতাহীনকে সমুখে আন ।” আন গেলে বিচারকর্তা তাহাকে কহিল " সত্যতাহীন তোমার নামে এই দোষ দেওয়া গিয়াছে। তুমি আপন ইচ্ছাতে নগরে ঢুকিয় লোকেরা যে সময়ে আপনারদের যথার্থ রাজাকে পরিত্যাগ করিয়া দিয়াবলের প্রতি অনুরাগ প্রকাশ করিল, সেই সময়ে শাদাই রাজার প্রতিমূৰ্ত্তি ভাঙ্গিয়া ফেলিয়া তাহার ব্যবস্থার যে অবশেষ ছিল তাহা নষ্ট করিতে উদ্যোগ করিলা, তাহাতে শাদাই রাজার অনাদর ও নরাত্মা নগরের বিনাশ হইবার আশঙ্কা জন্মাই য়াছ । ইহাতে কি কহ । তুমি দোষী কি না ।” সে “ কহিল না মহাশয় দোষী নহি ।” পরে সাক্ষরদিগকে ডাক গেলে প্রথমে সৰ্ব্বজ্ঞাত এই সাক্ষ্য দিল । “শাদাই রাজার প্রতিমূর্তি যে সময়ে ফেলিয়া দেওয়া গেল সেই সময়ে ঐ সত্যতাহীন দিয়াবলের আজ্ঞামতে তাহা ফেলিয়াছিল । আমি নিকটে দাড়াইয়া দেখিলাম । তাহা করিলে পর এই সত্যতাহীন ঐ প্রতিমূর্তির স্থানে দিয়াৰল পশুর শৃঙ্গবিশিষ্ট প্রতিমূৰ্ত্তি স্থাপন করিল। আর নরাত্মার মধ্যে প্লাজার ব্যবস্থার যে কিঞ্চি ও অবশিষ্ট ছিল তাহার কোন * १