পাতা:ধর্ম্মযুদ্ধের বৃত্তান্ত.pdf/১৮৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ধৰ্ম্মযুদ্ধের বৃত্তান্ত ३ ७४ নরাত্ম বিষন্ন বদন হইলে আমি তাহ সহ্য করিতে পারিতাম না ।” সদাচারী কহিল, “কি, আপনার নাম স্বীকার কর না । আমার নাম নির্দয় নয় আমার নাম সাহসদায়ী, এমন কথা কহ । সাক্ষিরদিগকে ডাক। তোমরা ইহাতে কি কহ ।” সৰ্ব্বজ্ঞাত কহিল, “ মহাশয় ইহার নাম নির্দয় । এই ব্যক্তি কার্য্যের সমস্ত কাগজ পত্রেতে নির্দয় নাম স্বাক্ষর করিয়াছে। দিয়াবলের এই সকল লোক নাম পরিবর্তন করাই ভাল বাসে । লোভ বলে আমার নাম পরিমিতব্যয়ী ! অহস্কার বলে আমার নাম পরিষ্কার কি সুন্দর কিম্বা এমত কোন একটা নাম ধরে । সকলেই সেইরূপ।” পরে সত্যবাদিকে সদাচারী কহিল, “ তুমি কি কহ ।” সত্যবাদী কহিল, “ মহাশয় ইহার নাম নির্দয় । আমি ইহাকে শিশুকালাবধি জানি । আপনি তাহার যে দোষের পত্র পড়িয়াছিলেন সেই সমস্ত দোষের দোষী বটে। কিন্তু ইহারদের কএক জন অনন্ত যন্ত্রণ ভোগ করিতে কিছু মাত্র ভয় করে না । অতএব যাহার সে যন্ত্রণ এড়াইতে চেষ্টা করে তাহারদিগকে ইহারা ক্ষুঃ বলিয়া জ্ঞান করে।” পরে সদাচারী কহিল “দপিকে সমুখে আন।” তাহাকে আনিলে সদাচারী তাহার নামের এই দোষের পত্র পড়িল । “তোমার নাম দপী। তুমি স্বেচ্ছামতে নগরে টকিয়াছ। আর শাদাই রাজার সেনাপতির যখন নরত্মাকে আপনারদের প্রকৃত রাজাকে স্বীকার করিতে কহিলেন তখন তুমি লোকেরদিগকে শাদাই রাজার অতি তুচ্ছনীয় ও দম্ভভাবে কথা কহিতে শিক্ষাইল, তদ্ভিন্ন আপন কথাতে মহারাজ ও র্তাহার পুত্ৰ ইন্মনুএলের সঙ্গে যুদ্ধ করিতে উৎসাহ দিলা, আপনিও যুদ্ধ করিয়া তাহারদের সাহস বৃদ্ধি করিলা। ইহাতে কি কহ। দোষী আছ কি না ।"