পাতা:ধর্ম্মযুদ্ধের বৃত্তান্ত.pdf/১৮৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ゞ やく、 ধৰ্ম্মযুদ্ধের বৃত্তান্ত ? দপী কহিল “ মহাশয়েরা আমি সৰ্ব্বদ সাহসী । অত্যন্ত বিপদ ঘটিলে কথন মাথা নওয়াই না । শক্রর দশ গুণ বলবান হইলেও কেহ তাহারদিগকে দেখিয়া নতমস্তক হয় ইহা আমি কথন সহ্য করিতে পারি না । কে আমার শক্র, কি জন্যেই বা যুদ্ধ করিতে হয়, ইহার কিছু বিবেচনা করি না । সাহস প্রকাশ করিয়া পুরুষের কার্য্য করিতে ও জয় করিতে পারিলেই যথেষ্ট জ্ঞান করি ” বিচারকত্ত্বারা কহিল “ ওরে দপী তোমার সাহস আছে বলিয়! কিম্বা বিপদগ্রস্তু হইলেও অবসন্ন হও না বলিয়। তোমার নামে দোষ দেওয়া যায় না । তুমি ঐ কল্পিত সাহসদ্বারা নরাত্মার লোকের দিগকে মহারাজ ও র্তাহার পুত্র ইমানুএলের সঙ্গে যুদ্ধ করিতে লওয়াইয়াছ এই দোষ তোমার নামে দেওয়া যায় ।” তাহাতে সে কোন উত্তর করিল না । পরে বিচারকত্বারা বন্দিরদের উক্ত সকল কার্ষ্য সমাপন করিয়া পঞ্চায়তেরদিগকে এইরূপ কহিল । “ হে পঞ্চায়ত মহাশয়ের এই স্থানে উপস্থিত হইয়া বন্দিরদিগকে দেখিয়াছ, তাহারদের ম’মে যে দোষ দেওয়া গিয়াছে তাছা শুনিয়াছ, তাহারদের উত্তরও শুনিয়াছ, সাক্ষিরদের সাক্ষ্যও শুনিয়াছ, এই ক্ষণে তোমরা নির্জন স্থানে গিয়া মহারাজার পক্ষে ইহারদিগকে ন্যায় ও ধৰ্ম্ম বিচারমতে যেরূপে দণ্ড করিতে হয় তাহ বিবেচনা করিয়া কহ ।" পরে পঞ্চায়ত অর্থাৎ ভক্তি, সৎমন, সরল, মন্দমৃণ, ঈশ্বর ভক্তি, সত্যদশী স্বৰ্গীয়মন, ধীরস্বভাব, কৃতজ্ঞ, নমুভাব, সৎকর্ম ও ঈশ্বরের পক্ষে ব্যগ্র ইহঁার স্বতন্ত্র গিয়া পরসপর এই প্রকার বিবেচনা কৱিতে লাগিল । তাহারদের মধ্যে ভক্তি প্রধান হইয়া প্রথমে কহিল “ মহাশয়ের আমি বোধ করি ঐ বন্দিরা সকলই প্রাণদণ্ডের