পাতা:ধর্ম্মযুদ্ধের বৃত্তান্ত.pdf/১৯

* 6 ধৰ্ম্মযুদ্ধের বৃত্তান্ত ইয়া, প্রতিরোধিকে নষ্ট করিবার জন্যে ভিসিফনকে ওতে করিয়া রাথিয়া, আপনি দ্বারের নিকটে গিল্প, নৱাত্মার লোকেরদিগকে অৰধান করিতে ডাকিল । আপনার প্রাঙ্গে কুৰিৱাম নামক এক ব্যক্তিকেও লইষ্ণু গেল । কঠিন কোন বিষয় হইলে সে ব্যক্তি বক্ত হইত। দ্যাবল তৎs কালের ব্যবহারমতে জুরীর ঘোষণা দ্বারা লোককে ডাকইলে, কে আসিয়াছেঃ কি হইতেছে, ইহা দেখিবার জন্যে নগরের প্রধানং লোক প্রাচীরের নিকটে আইল । তাহারদের নাম এইং, শ্ৰীযুত নির্দোষ মহাশয় ও যথাবাঞ্ছা মহাশয় ও সুবুদ্ধি নামক নগরাধ্যক্ষ ও মদসদ্বোধ নাম লেখক ও প্রতিরোধী নামে সৈন্যাধ্যক্ষ। যথাবাঞ্ছা মহাশয়, প্রাচীরে উটিয়া দিয়াবলকে দ্বারে দেখিয়া, কহিল, “ তুমি কে, কেন আসিয়াছ, আর এমন বিকট শব্দ করিয়া অামারদিগকে কেন ডাকিতেছ।” তথম দিয়াৰল মেষশাবকের তুল্য নিষ্কলঙ্ক ব্যক্তির মত কহিতে লাগিল “ হে অতি প্রসিদ্ধ নরাত্মানিবাসি মহাশয়ের, দেখিতেছেন, আমি আপনারদের সন্নিকটনিবাসি পশু, ও রাজ নিয়মমতে আপনারদের আজ্ঞাবশ হইয়া সাধ্যপর্য্যন্ত আপনারদের সেবা করিতে বদ্ধ আছি। অতএব উচিত কৰ্ম্ম করিয়া আপনারদের উপযুক্ত মেৰা করিবার জন্যে কিছু নিবেদন করিতে চাহি। আপনারাও স্থির হইয়া আমার বাক্যে অবধান করুন। প্রথমে আপনারদিগকে জানাই, এই ক্ষণে যাহা করিতে প্রবর্ত হইলাম, তাহাতে আমি আপনার লাভ চেষ্ট না করিয়া, মহাশয়েরদেরই লাভ চেষ্টা করিব । আমার কথায় মনোযোগ হইলে ইহার সপষ্ট প্রমাণ পাইবেন । হে মহাশয়গণ, আপনার এইক্ষণে দাসের মতে বদ্ধ আছেন, কিন্তু এখন পর্যন্ত তাহ জানেন নাই, অতএব যে উপায়ে সেই বন্ধন দিয়াবলের কথা ।