পাতা:ধর্ম্মযুদ্ধের বৃত্তান্ত.pdf/২১৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

* >)● ধৰ্ম্মযুদ্ধের বৃত্তান্ত । তাহার কথায় বিশ্বাস করিয়া আপনারদের নিষ্কণ্টক অবস্থা হইয়াছে জ্ঞান করিতে লাগিল । পরে তাহার কথাবাৰ্ত্তা কহিতে ২ ক্রমে তাহার সঙ্গে ভোজন পান ক্রীড়াদি করিতে লাগিল । ইমুনুএল তখন নগরে ছিলেন ও তাহারদের কর্ম সকল লক্ষ করিয়া থাকিলেন, কিছু বলিলেন না। তাহার দিয়াৰলের কোন লোকের প্রতারণায় বিড়ম্বিত না হয় এই জন্যে তিনি পূৰ্ব্বে তাহারদিগকে সাবধান করিয়াছিলেন, কিন্তু তাহা না মানিয়া নগরাধ্যক্ষ ও স্বেচ্ছাবলম্বী ও লেখক দিয়াবলের ঐ কপট লোকের কথাতে ভুন্তে হইল। ইমুনুএল আরো তাহারদিগকে কহিয়াছিলেন “গড়েতে ও বলেতে নরাত্মা নগরের তাদৃশ রক্ষা হইতে পারে না কিন্তু যে সকল অনুগ্রহ পাইয়াছ তাহ বুঝিয়া উপযুক্ত আচার করিলে আমি নিত্য গড়েতে বাস করিব, আমার থাকাতেই তোমারদের রক্ষা। আমার প্রকৃত শিক্ষা এই, পিতার ও আমার প্রেম নরাত্মান ভুলে। আর যাহাতে তাহারাসেই প্রেমে স্থির থাকে এমন আচরণ করে।” কিন্তু তাহারা ঐ বিধি না মানিয়া দিয়াবলের এক জনকে প্রেম করি ল । সে কপটনিৰ্ব্বিষু অতি দুষ্ট, তাহার প্রতি তাহারদের অত্যন্ত স্নেহপ্রযুক্ত কিছু বিবে: চনা না করিয়া তাহার পরামর্শমতে চলিল। রাজকুমারের কথাতে মনোযোগ করা ও ঠাহার প্রতি ভক্তি করা ও উtহাতে আসক্ত হওয়া তাহারদের কৰ্ত্তব্য ছিল । তাহা করিয়া যদি ঐ দুষ্টকে পাতর মারিয়া নষ্ট করিয়া যুবরাজের নির্দিষ্ট পথে চলিত তবে তাহারদের মঙ্গল মহানদীস্বরূপ ও তাহারদের ধৰ্ম্ম সমুদ্রের তরঙ্গস্বরূপ হইত। কপট নিৰ্ব্বিয়ের দ্বারা নরাত্মার লোকেরদের অন্তঃকরণ বিকৃত হইল ও তাহারদের প্রেম অনুরাগ থৰ্ব্ব হইয়াছে দেখিয়া ইম্মনুএল এই কার্ষ্য করিলেন।