পাতা:ধর্ম্মযুদ্ধের বৃত্তান্ত.pdf/২২৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

& е е ধৰ্ম্মযুদ্ধের বৃত্তান্ত । অভিপ্রায় অর্থাৎ ফল ধরে না, ন ধরিলে কাটিয়া ফেলা যাইৰে। তাঁহাতে এই প্রমাণ, মানুষের মন না ফিরিলে তাহার সমপূর্ণ নাশ হইবেক । তৃতীয়, এই দণ্ডাজ্ঞার কর্তা, অর্থাৎ শাদাই রাজ আপনি কাটাইবেন। শেষে ঐ দণ্ডের কারণ দেখাইলেন, পরে উপদেশ সমাপ্ত করিলেন। ঐ সকল কথা ৰিনেরেগণ অত্যন্ত শক্ত করিয়া কহিলেন তাহাতে নরাত্মা কঁাপিয়া উঠিল । উপদেশক পূৰ্ব্বে যে উপদেশ করিয়াছিল তাহাতে লোকেরদের চেতন জন্মিয়াছিল, এই উপদেশেতে ঐ কথা আরো শক্তরূপে লাগিল। তাহাতে নগরের চারি দিগে বিলাপ ও শোক ও মহাদুঃখ হইল। উপদেশ শুনিলে পর তাহার একত্র হইয়া মন্ত্ৰণ করিতে লাগিল “ এইক্ষণে কি করিতে হয় ।” দ্বিতীয় উপদেশক কহিল “আমি আপন বুদ্ধিতে কিছুই করিব না, ঈশ্বরীয় ভয়ের পরামর্শ লইতে হইবেক ।” তাহাতে ঈশ্বরীয় ভয়কে ডাকিতে গেলে সে তৎক্ষণে আইল । পরে তাহাকে জিজ্ঞাসা করিল, “ আমারদের এই দশায় কি করিতে হয়।" বৃদ্ধ ঈশ্বরীয় ভয় কহিল “ আমার পরামর্শ এক্ট, এই দুঃখের কালে নরাত্মার সমস্ত লোক অতি নমু ভাবে প্রার্থন পত্র লিথিয় যুবরাজের নিকটে পাঠাউক, তাই াতে এই প্রার্থনা করুক, আপনি অনুগ্রহ ও দয়া করিয়া অামারদের নিকটে ফিরিয়া আইসেন, চিরকাল ক্রুদ্ধ না থাকেন।" নগরের লোকের তাহার পরামর্শমতে সেই সময়েই প্লথনা পত্র লিখিল । পরন্তু কাহার হাতে পাঠাইতে হয় ইছার পরামর্শ করিয়া স্থির করিল, নগরাধ্যক্ষের হাতে দিয়া পাঠাইতে হয়। তাহাতে অধ্যক্ষ পত্র লইয়। শাদাইর রাজবাটতে গেল, যেহেতুক নরাত্মার যুবরাজ তথায় গিয়াছিলেন । কিন্তু রাজবাটীর দ্বার বদ্ধ দ্বারে প্রহরী দাড়াইয়। আছে । তাহাতে অধ্যক্ষ অনেক কাল দ্বারে দাড়াইয়া থা