পাতা:ধর্ম্মযুদ্ধের বৃত্তান্ত.pdf/২৪১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

২১ e ধৰ্ম্মযুদ্ধের বৃত্তান্ত। ভাল।” প্রবঞ্চনার এই পরামর্শ সকলে উত্তম জ্ঞান করিল। কিন্তু কি প্রকারে কৰ্ম্ম করা যায়। প্রবঞ্চনা কহিল “ আমার পরামর্শ এই। আমারদের মধ্যে যাহার রাজার সেবাতে প্রাণপণ করিতে উদ্যত, এমন কএক জন ছদ্ম বেশ ধরিয়া নাম পরিবর্তন করুক, পরে দূর দেশি লোকের মত হইয়া হাটে গিয়া দাড়াউক, ও নরাত্মা অতি প্রসিদ্ধ ইহাতে এই নগরে কোন কৰ্ম্ম চাহি এই কথা জানাউক, পরে কেহ কৰ্ম্ম দিলে তাহার ছলনা করিয়া ঐ প্রভুর সেবা ভালমতে করুক। এমন করিলে তাহারা অত্যন্ত্র কালে নগ রের লোককে অতিশয় মলিন ও দুষ্ট করিতে পরিবে, তাহাতে রাজা আরো বিরক্ত হইবেন, শেষে তাহারদিগকে বমির মতে মুখহইতে উদগীর্ণ করিবেন। তাহ হইলে দিয়াৰল রাজা অতি সহজে তাহারদিগকে গ্রাস করিবেন, বরুণ তাহারাই স্বেচ্ছামতে ভোক্তার মুখে পড়িবে।" এই পরামশেতেই সকল লোক একেবারে সম্মত হইয়া ঐ কার্ষ্য করিতে উদ্যত হইল। কিন্তু সকলে ঐ প্রকারে কৰ্ম্ম লইলে পাছে ভাৰ প্রকাশ হয়, এই কারণে তাহারা তিন জনকে নিযুক্ত করিল, তাহারদের নাম এইং, লোভ ও কামভাব ও কোপ । লোভ কছিল, " জামায় নাম পরিমিতব্যয়জন্য-উন্নতি।” কামভাব আক্ষতিকর-আমোদ নাম গ্রহণ করিল। কোপ কহিল, “ আমার নাম সদ্ব্যগ্রতা।” এই তিন জন মোট বলবান। হাটের দিনে তাহার মেষের লোমের বস্ত্র পরিয়া হাটের মধ্যে স্থল। তাহারদের ঐ বস্ত্র প্রায় নরাত্মার লোকেরদের বন্ত্রের মত । ঐ তিন জন নরাত্মার কথাও ভালমতে কহিতে পারিত। অতএব হাটে দাড়াইয়া কৰ্ম্ম প্রার্থনা করিলে অল্পকালেই লক লের কর্ম হইল, কেননা তাহার অল্প ৰেতন লইয়া অতিশয় 'পরিশ্রম করিতে স্বীকার করিল।