পাতা:ধর্ম্মযুদ্ধের বৃত্তান্ত.pdf/২৪৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ধৰ্ম্মযুদ্ধের বৃত্তান্ত। .९११ এই প্রথম উপায় অতি উত্তম । তাহ সফলও হইতে পারে। প্রাণ মষ্ট করিবার এই সদুপায় । অনেক বৎসর হইল অ! মারদের বন্ধু বালাম এইরূপ করিয়া কার্য্য সিদ্ধ করিয়াছিল। অতএৰ প্ৰাণনাশের এই সদুপায় । অামারদের লোকসকল এই নিয়মমতে সৰ্ব্বদাই করুক। কেৱল ঈশ্বরের অনুগ্রহেতে এই উপায় বিফল হইতে পারে, নতুবা নয়, আর বোধ করি সেই নগর ঐ অনুগ্রহের পাত্র নহে। কিন্তু হাটের দিনে তাহারদের মন সাণ২সারিক দ্রব্য ক্রয়বিক্রয়ের কার্য্যেতে মগ্ন থাকিবে বলিয়া তাহারদের উপর আক্রমণ করা ভাল হয় কি না, এক কথার কিছু বিবেচনা করা উচিত। বিশেষতঃ সময়ের দোস গুণে কাৰ্য্য ৰিফল কি সফল হয়। উপযুক্ত সময় না হইলে সমস্ত কল্পনা বৃথা হবে । বন্ধুগণ কহে হাটের দিনই উপযুক্ত সময়, কেননা সে দিনে ক্রয় বিক্রয়েতে ব্যস্ত থাকে, এমন সময়ে কেহ নগরে আক্রমণ করিবে এরূপ চিন্তা ও করিবে না । কিন্তু তাহারদের যদি সম্বিবেচনা থাকে তবে অবশ্য এমন দিনে দ্বিগুণ প্রহরি নিযুক্ত করিৰে। আর তাহারদের বর্তমান দশ বুঝিয় যদি সেই দিনে অনেক রক্ষক নিযুক্ত করে, অথৰ৷ যদি সৈন্যেরা সে সমস্ত দিন অস্ত্র ধরিয়া থাকে, তবৈ মহাশয়েরা তোমারদের উদ্যোগও বিফল হইবার সম্ভাবনা, অথচ ঐ নগরে অামারদের যে বন্ধুরা থাকে তাহার কোন ক্রমেই রক্ষা পাইৰে না, সমপূর্ণরূপে বিনষ্ট হবেই। তাহাতে বালজিবুৰ উত্তর করিল, “মহাশয়ের কথা বিচার যোগ্য বটে। . কিন্তু নগরের লোকের সতর্ক হয় কি না হয় বলা যায় না। আর মহাশয়ও এই কথা নিশ্চয় জ্ঞান করিয়া কহিয়াছেন এমন নয়। বিবেচনার নিমিত্তেই কহিয়াছেন। অতএব নরাত্মার লোকের নগরের জীর্ণ দশ বুঝে কি না, আর আমীরদের কল্পনার গন্ধ পাইয়াছে কি না ইহ জগ্রে জানা উচিত। যদি তাহারদের এমত অনুভৱ হইয়া থাকে