পাতা:ধর্ম্মযুদ্ধের বৃত্তান্ত.pdf/৩৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

& 8 ধৰ্ম্মযুদ্ধের বৃত্তান্ত। লাষ ও জীবনের গৰ্ব্ব ভোগ কর।” তাহ শাজাই রাজসম্বন্ধীয় নহে কিন্তু জগৎসম্বন্ধীয় (১ যোহন । .২ : ১ ৬ ) । লাল্পট্য ও সৰ্ব্বপ্রকার দুষ্টতার ব্যাপারে অত্যন্ত প্রবৃত্তি জন্মাইল । “ এমন দুষ্কৰ্ম্ম করিলে পরমেশ্বর তোমারদের কখন বিচার করবেন না, তোমরা স্বচ্ছদে শান্তি ও আনন্দ ও পরমসুখ পাইব৷ ” এই প্রকার বাক্যেতে লওয়াইয়া, তাহারদিগকে অভয় দান করিত । #,' ' ইত্যাদি প্রকারে নরাত্মা নগর সমপূর্ণরূপে দিয়াৰলের আজ্ঞাৰশ হইলে, লোকেরদের তাবৎ কথাবার্তাতে ও কৰ্ম্মেতে কেবল তাঁহারই প্রশ^স ও মহিমা প্রকাশ হইত। অপর নগরাধ্যক্ষ ও লেখক, অর্থাৎ সুবুদ্ধি ও সদসদ্বোধকে পদচু্যত করিলে পর, দিয়াৰল মনে করিল, এই নগর জগতের মধ্যে বিশেষ ক্ষমতাপ্রাপ্ত, অতি প্রাচীন নগর, সৌষ্ঠব রক্ষা না করিলে লোকের কহিবে, নগরের হ্রাস হইয়াছে। অতএব সৌন্দর্ষ্যের কিছু নূ্যনত না হয়, ও লভ্যজনক কোন বিষয়ের অভাব না হয়, এই অভিপ্রায়ে নগরাধ্যক্ষের ও লেখকের পদে অন্য দুই জনকে নিযুক্ত করিল। পরে সেই দুই জনের প্রতি নগরীয় লোকেরাও সন্তুষ্ট হইল, তাহারা দিয়াৰলের প্রিয়ও বটে। নগরাধ্যক্ষের পদে বধির ও অন্ধ কামুকনামক এক ব্যক্তিকে নিযুক্ত করিল। স্বভাবতঃ কিম্বা আপন পদোপলক্ষে, সে যাহা করিত তাহাতে কোন বিচার ছিল না, পস্তৰৎ ব্যবহারী ছিল। তাহার সমস্ত কাৰ্য্যই কেৱল কুৰিষয়ের বৃদ্ধির জন্যে, সুকর্মের প্রতি মনোযোগমাত্র ছিল না । ইছাতেও নরাত্মার লোক কিছু মাত্র চিন্তা করিত না। কিন্তু অন্য যে লোকেরা নগরের দুরবস্থা দেখিয় দুঃখিত ছিল, তাহার। ঐ ব্যক্তিকে অতিশয় হেয়ঞ্জান করিত। - নগরের নুতন অধ্যক্ষ ।