পাতা:ধর্ম্মযুদ্ধের বৃত্তান্ত.pdf/৫৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ধৰ্ম্মযুদ্ধের বৃত্তান্ত। 83) র্তাহার প্রত্যেকে উক্ত প্রকারে রাজার নিকটে আজ্ঞাপত্ৰ পাইয়া, নিরূপিত দিনে, নির্দিষ্ট স্থানে স্বং পদোপযুক্ত বেশে বিভূষিত হইলেন। পরে, শাদাই রাজার সঙ্গে ভোজন করণান্তর, উড়ডীয়মান পতাকা লইয়া যাত্রা করিতে লাগিলেন। অগ্ৰে ৰিনেরেগশ, পরে দোষাৰধারক ও বিচারক, শেষে দণ্ডকারক গমন করিলেন। রাজধানীহইতে নরাত্মা অতিদূর। নানা দেশ দিয়া যাইতে হয় । কিন্তু কোন স্থানেই কাহারে ক্ষতি বা অপমান না করিয়া, সকলেরই মঙ্গল করিতেই চলিলেন । পথের ব্যয়সকল রাজভাণ্ডারহইতে পাইলেন । এতক্রপে অনেক দিবস যাত্রা করিলে পর নগর দেখিতে পাইলেন। কিন্তু ঐ নগর দিয়াবলের ইচ্ছা ও ব্যবস্থা ও কল্পনার অধীন আছে, জানিয়া তাহারা অত্যন্ত খেদ করিতে লাগিলেন । নগরে উপস্থিত হইয় তাহার কর্ণদ্বারের সমুথে তাম্ব ফেলিয়া থাকিলেন, কারণ সেই দ্বার শুনিবার স্থান । পরে ছাউনির চতুর্দিগে মুৰ্চাৰদি করিয়া যুদ্ধ করিতে প্রস্তুত হইলেন। নগরীয় লোকেরা অনেক সৈন্য দেখিয়া, ও তাহারা সকলই সাহসিক সুসজ্জিত সুনিয়মবদ্ধ দেখিয়া,ও তাহারদের অন্ত্রশস্ত্রের ধখ্রিক লোকের চাকচক্য ও ধ্বজ উড়ডীয়মান দেখিয়া, সদাচার দেখিয় আপনারদের ঘরহইতে বাহির হইয়া সাংসারিক লোকের দেখিতে লাগিল। অতি ধূর্ত দিয়ামনে প্রবোধ জন্মে । বল ইহা দেখিয়া মনে ২ এই সন্দেহ করিল, “ লোক সকল এইপ্রকার দেখিতেছে, ইতিমধ্যে সেনাপতিরা আজ্ঞা করিলেই তাহার দ্বার মুক্ত করিয়া দিতে পারে।” অতএব সে অতিশীঘ্ৰ গড়হইতে বাহির হইয়া, সকলকে নগরের মধ্যস্থলে ডাকিয়া, এই মিথ্যা প্রবঞ্চনার কথা কহিতে লাগিল।