পাতা:ধর্ম্মযুদ্ধের বৃত্তান্ত.pdf/৬৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ф е ধৰ্ম্মযুদ্ধের বৃত্তান্ত । তৎপরে শ্বেস্তুর্ণ ধ্বজাতে চিত্রিত মুক্তব্যবস্থাগ্রন্থ যাহার দোষাবধারকের সেই দোসাবধারক কছিলেন, “ হে নরাকথ} }} জু, শুন | হে নরাত্মা, তুমি পূৰ্ব্বে নির্দোষী হইয়া প্রসিদ্ধ ছিল, এইক্ষণে অসত্যতা ও প্রবঞ্চনাতে আসক্ত। (রোম । ৩। ১ e-১৯ ২ ৩ ৯৬ ৷৷ ১৭, ১৮ । গীত ৫০,২১,২২) । বিনেরেগশ ভুতি যাহা কহিয়াছেন তাহ শুনিয়াছ। যাহার বিদ্রোহী হইয়াছ, তিনি তোমারদিগকে মহাক্রোধে বিদীর্ণ করিতে পরাক্রান্ত, কিন্তু এখন শান্তি ও দয়ার প্রসঙ্গ করিতেছেন। সেই শান্তি ও দয়া গ্রহণ করিলে, তোমারদের বুদ্ধির প্রমাণ, ও সুখ হয়। কেননা অামারদের শাদাই রাজা মহাশক্তিমান, তিনি ক্রুদ্ধ হইলে কেহ তাহার সমুখে তিষ্ঠিতে পারিবে না। যদি বল, আমি পাপ করি নাই,রাজার বিপরীতাচরণও করি নাই। তবে শুন । তুমি তাহার সেবা ত্যাগ করিয়াছ, তোমার পাপের আরম্ভ এই। আর মে দিবসে তাহা করিয়াছ, সেই অবধি অদ্যপর্য্যন্ত তোমার সমস্ত ক্রিয়াই তোমার দোষের প্রমাণ । নতুব দিয়াৰলের কথা শুনিয়া তাহাকেই রাজা বলিয়া গ্রহণ করিলা কেন । তুমি শাদাই রাজার ব্যবস্থা তুচ্ছ করিয়া দিয়াবলের আজ্ঞা মানিল কেন। আমরাই শাদাই রাজার বিশ্বস্তু ভৃত্য, কিন্তু আমারদের সঙ্গে যুদ্ধ করিবার নিমিত্তে অস্ত্র লইয়। আমারদের সম্মুখে দ্বার বদ্ধ রাখিলা কেন । অতএব আমারদের পরামর্শ গ্রহণ কর, ও আমার ভুতার কথা মান। দয়া পাইবার অবকাশ থাকিতে তাহা গ্রহণ কর, তোমার শক্রর সঙ্গে শীঘ্ৰ মিল (লুক ১২ । ৫৮, ৫১) হায় নরাত্মা, দিয়াবলের চাতুরী বাক্য শুনিয়া আপনার দয়া পাইবার বাধা করিও না, ও আপনার দুঃখ সহস্ৰগুণ বৃদ্ধি করিও না । কি জানি সে ব্যক্তি প্রবঞ্চনা করিয়া তোমারদিগকে এমন প্রবোধ দিয়া থাকিৰে যে, এই কার্ষ্যেতে আমরা আপনারদেরই মঙ্গল চেষ্টা করি, তোমারদের নয় । কিন্তু