পাতা:ধর্ম্মযুদ্ধের বৃত্তান্ত.pdf/৭০

ধৰ্ম্মযুদ্ধের বৃত্তান্ত। ¢ ፃ গর্জনও তুচ্ছ করি। যেমন আছি, তেমনি থাকিব । তিন দিনের মধ্যে এই স্থানহইতে উঠিয়া যাও । না গেলে নরাত্মা নগরের নিদ্রিত সিংহ দিয়াৰলকে জাগৃত করা যে কিপর্য্যন্ত ভয়ঙ্কর কার্ষ্য তাহ জানিতে পাইব ।” পরে সদ্বিস্মরণ নামে লেখক এই কথা কহিল। “ হে মহাসন্মিরণনামক শয়েরা, তোমরা অতি শক্ত ও রাগের লেখকের কথা ! কথা কহিয়াছ, তাহার উত্তরে আমার সঙ্গি অধ্যক্ষের তোমারদিগকে অতি কোমল কথা কহিয়াছেন। র্তাহার তোমারদিগকে স্বচ্ছদে এখানছষ্টতে উঠিয়া যাইতে অনুমতিও দিয়াছেন । অতএব এই সময়ে তাহারদের কোমল বাক্য শুনিয়া প্রস্থান কর। আমরা গিয়া তোমারদিগকে খড়গাঘাত করিয়া তাড়িয় দিতাম। কিন্তু আমরা সুশীল লোক, অন্যেরাদগকে কোন ক্লেশ দিতে চাহি না।” দিয়াবল ও তাহার সৈন্যসকল সেনাপতিরদিগকে জয় করিলে যে প্রকার আনন্দধ্বনি করিতে পারিত, লোকের ঐ সকল কথা শুনিয়া তদ্রুপ মহাধ্বনি করিয়া ঘণ্টা বাজাইয়া, প্রাচীরের উপরে হাস্য পরিহাস্য নৃত্যাদি করিতে লাগিল। পরে দিয়াবল গড়ে ফিরিয়া গেল। নগরাধ্যক্ষ ও লেখক আপনং ঘরে গেল। পরন্তু স্বেচ্ছাৰলম্বী মগরের সমস্তু দ্বারেতে দ্বিগুণ তৈনাতি নিযুক্ত করিল, ও দ্বিগুণ থিল হুড়কাদি দ্বারে দিয়া দৃঢ়রূপে বদ্ধ করিল। আর বিশেষ সতর্ক হইয় কর্ণদ্বার রক্ষা করিল, যেহেতুক সেই দ্বারদিয়া মহারাজার সৈন্যেরদের প্রবেশ করণের বিশেষ চেষ্টা । অতএব স্বেচ্ছাৰলম্বী কুল-১স্কার নামক অতি কুদৃশ্য রাগাল ব্যক্তিকে ঐ দ্বার রক্ষা করিবার নিমিত্তে নিযুক্ত করিয়া, যাইট জন বধীরকে তাহার অধীন করিয়া রাখিল । তাহারা সেই স্থানে থাকিবার উপযুক্ত,কেননা সেনাপতিয়দের কি লৈনোরদের কোন কথা শুনিতে পারে না ।