পাতা:ধর্ম্মযুদ্ধের বৃত্তান্ত.pdf/৭২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ধৰ্ম্মযুদ্ধের বৃত্তান্ত 3> কর্ণধারও উত্তমরূপে রক্ষা হইৰেক । পরন্ত তাহাতে তাদৃশ ফল হইল না । তদ্বিস্তারিত পশ্চাৎ লিখিতেছি। উক্ত দুষ্ট কামানভিন্ন কএক ক্ষুদ্র কামান নগরে ছিল, তাহtহইতেও অনেক গোলা ছাড়া গেল। g. মহারাজার সৈন্যেরাও মহাউৎসাহ প্রকাশ করিয়া নগরের {ঈশ্বরের বাক্যের মধ্যে ও কর্ণদ্বারে অনেক গোলা বর্ষণ লল }} করিল, বিশেষমতে কর্ণদ্বারে, কেননা সেই দ্বার খোলা না গেলে প্রাচীরে যথেষ্ট আঘাত করিলেও বৃথা হয় । মহারাজার সেনাপতিরা অনেক ফিঙ্গা ও দুই তিনটা ভিত্তিভেদক যন্ত্র* আনিয়াছিলেন । ফিঙ্গাদ্বারা তাহারা নগর নিৰাসিরদের ও তাহারদের ঘরের উপর অনেক পাতর ফেলিতেন। ভিত্তিভেদক যন্ত্রদ্ধার কর্ণদ্বারে আঘাত করিয়া তাহ! ভাঙ্গিয় খুলিতে উদ্যোগ করিলেন । নগরের ও শাদাক্টর সৈন্যেরদের মধ্যে অনেকবার ঘোরতর যুদ্ধ হইয়াছিল। আর কর্ণদ্বারের উপরিভাগে যে এক গড় নিfর্মত ছিল তাহা ভাঙ্গিয়া ফেলিতে, অথবা দ্বার খুলিয়া প্রবেশ করিতে, সেনাপতিরা অতি সাহস করিয়া বারম্বার অত্যন্ত উদ্যোগ করিলেন। কিন্তু দিয়াবলের রাগ ও স্বেচ্ছাৰলম্বির সাহস ও নগরাধ্যক্ষ অবিশ্বাসের, ও লেখক সদ্বিস্মরণের অাচরণ দেখিয়া নগরের লোকের সাহস পাইয়া ঘোরতর যুদ্ধ করিল। সেই যুদ্ধে মহারাজার যত টাকা ব্যয় হয় তাহা সকলই ৰিফল বোধ হইল, বর°২ নরাত্মার পক্ষে লাভ হইল। সেনাপতিয়া ইহা দেখিয়া হটিয়া গিয়া ছাউনিতে

  • এই যন্ত্র পূর্বকালে যুদ্ধে অতি ব্যবহার্য ছিল । তাহার এই আকৃতি, অতি বৃহৎ কড়িকাষ্ঠের অগ্রভাগে মেষের মৰকের অকার। যে প্রাচীর কি দ্বার ভাঙ্গিতে হয় তাহার নিকটে দুই খাম গাথিযা, তাহার মধ্যে এই যন্ত্র টাঙ্গাইয়া, ঐ প্রাচীরপ্রভৃতির উপর অতি স্বলপূৰ্ব্বক অভ্যন্ত আঘাত করা যাইত।