পাতা:ধর্ম্মযুদ্ধের বৃত্তান্ত.pdf/৭৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ა) ჯ. ধর্মযুদ্ধের বৃত্তান্ত । কর্ণদ্বারের উপরি ভাগে যে দুই বৃহৎ কামান ছিল তাছাও দুই বড় কামান স্তাহার পঙ্কেতে ফেলিয়া দিলেন। পূৰ্ব্বে নীচে ফেলা গেল। লেখা গিয়াছে, মহারাজার অতি সন্ত্রান্ত সেনাপতির নগরের প্রাচীরের নিকটে না থাকিয়া, কিঞ্চিৎ দূরে গিয়া আপনারদের দ্রব্যাদি লষ্টয়া 'ছাউনিতে থাকিলেন । কিন্তু যে স্থানে থাকিয় তাহার রাজকাৰ্য্য অতি উত্তমরূপে করিয়াও শক্ররদের অত্যন্ত ক্লেশ জন্মাষ্ট্ৰয়া নগরের লোকদিগকে বারম্বার চেতাইতে পারেন, এমত স্থান মনোনীত করি লেন । র্তাহারদের অভিপ্রায়ও সিদ্ধ হইল, যেহেতুক শত্রুরদিগকে যত ক্লেশ দিতে চাহি লেন প্রায় ততক্ট দিলেন । তাহাতে নরাত্মা আর নিদ্রা যাইতে পারিল না, ও নিষ্কণ্টক রূপে ব্যভিচার ক্রিয়াতেও রত হইতে পারিল না । কেননা শাদাই রাজার সৈন্যেরা বারস্থার কথার উপর কথা কহিয়1, এক বার এবং দ্বারে, অন্য বরি অন্য দ্বারে, ক4ক বার সৰ্ব্ব দ্বারেতে এমন শব্দ করিতে লাগিলেন, যে তাহারদের পূৰ্ব্বকার শান্তি গেল। তখন শীতকাল, রাত্রি অতি দীর্ঘ, তাহাতে সৈন্যেরদের ভয়ঙ্কর কথাতে নগরের বহু ক্লেশ হইল। এমন সঙ্কট পূৰ্ব্বে কথনে হয় নাই । কোনং সময়ে তুরী বাজিত, কোনং সময়ে নগরের মধ্যে ফিঙ্গাতে প্রস্তুর ছোড়া যাইত। একং বার মধ্যরাত্রেই দশসহস্র সৈন্য নগরের প্রাচীর বেষ্টন করিয়া যুদ্ধের ঘোরতর রবে লোকেরদিগকে ডাকিত । কখনই নগরের কোনং লোক আঘাতী হইয় দারুণ চীৎকার করিয়া নরাত্মার মহা উদ্বেগ জন্মাষ্টত । নগরের লোকেরদের অত্যন্ত ক্লেশ ও দুঃখ চ ষ্টল। বুঝি দিয়াবল রাজাও প্রায় বিশ্রাম পাইতে পারিত না । শুনিয়াছি তৎসময়ে নগরের লোকেরদের মনে নুতন প্রকারের নানা বিরুদ্ধ ভাৰ জন্মিতে লাগিল। কেহং কহিত “এমত হইলে বাঁচ ভার।" কেহং কহিত “এমত বহুকাল থাকিৰে